চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকার উত্তর ফরিদাপাড়ায় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন রবিউল শরীরে আগুন লেগে নিহত হন। তাঁর মা ফাতেমা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি ভিক্ষা করে সংসার চালান। ১২ আগস্ট ২০১৮, চট্টগ্রাম।
প্রতিদিনের মতো আজও ভিক্ষা করতে গিয়েছিলেন ফাতেমা বেগম। রোজ যেভাবে যান, মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে শিকলে বেঁধেই ভিক্ষায় গিয়েছিলেন। সেটাই কাল হলো। আগুন লেগে ছেলে রবিউল হোসেন (৩০) যে কয়লা হয়ে যাবেন, কে জানত! আগুনের খবর পেয়ে ফিরে এসে দেখেন, ছেলে আর নেই।
পঞ্চাশোর্ধ্ব ফাতেমার একমাত্র সন্তান রবিউল আজ রোববার এভাবেই মৃত্যুবরণ করেন। নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ৩৬টি কাঁচা ঘর পুড়ে যায়। বেলা পৌনে ১১টায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি গাড়ি বেলা সাড়ে ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে ঘরের সঙ্গে পুড়ে গেছেন রবিউল।
ফাতেমা বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘ছেলেকে খাওয়ানোর পর ভিক্ষা করতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি ছেলে পুড়ে ছাই। মাথার সমস্যা থাকায় তাকে বেঁধে রাখতাম। ঘরে আর কেউ নেই।’
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক জসীম উদ্দীন জানান, লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে স্বজনেরা জানান। তাই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো।