চট্টগ্রাম: আবারও সেই চিংড়ি-জামাই সালিশে গিয়ে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেও এবার বউ চাচ্ছেন ফ্রিতে। তবে এভাবে নিজের কন্যাকে দেয়া যাবে না বলে সাফ জানালেন চিংড়ির জামাইর শ্বশুর মশাই। এবার বউকেই হারাতে যাচ্ছেন সেই চিংড়ি জামাই।
কনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সালিশকারকদের রায় মেনে কন্যাকে দিবো বলেছিলাম। তবে তারাতো (ছেলে পক্ষ) সেই রায়ের আলোকে দণ্ড না গুনেই ফ্রিতে আমার কন্যাকে চাইছেন। মেয়েকে এমনভাবে গাংয়ের জলে ভাসিয়ে দিতে পারি না!
তিনি বলেন, এসব আর ভাল লাগছে না। আমার মেয়ের জীবন নিয়ে তারা তামাশা করছে। ছেলের বাবা জানিয়েছে সালিশি বৈঠকের রায়ের সেই সব নিরাপত্তা ডিপোজিট দেয়া সম্বব নয়।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় সর্বশেষ কনের বাবার সাথে আলাপকালে জানান, তখনও বউ তুলে নিতে আসেনি কেউ। একদিন আগে বরের বাবা ফোনে বলেছিলেন, এমনিতে (ফ্রিতে) দিলে তারা বউ নিতে আসবেন। তবে দণ্ডগুণে নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই আমিও সাফ বলে দিয়েছি, নিতে হলে রায়ের আলোকেই নিতে হবে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিয়ের প্রীতিভোজের খাবারের মেন্যুতে চিংড়ি না পেয়ে তুলকালাম কাণ্ডঘটানোর পর উদ্ভূত পরিস্থিতি মীমাংশায় এক সালিশি বৈঠক বসে ১ অক্টোবর সোমবার দিনগত রাতে। আর সেই বৈঠকে সালিশকারকরা সিদ্ধান্ত দেন শুক্রবার (৫ অক্টোবর) নববধুকে ঘরে তুলে নেবেন নতুন জামাই।
এর আগে মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবনের নিরাপত্তায় ৩ লাখ টাকার ব্যাংক ডিপোজিট করে দিবেন। ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের মধ্যে ব্যাংক হিসাব খুলে শুক্রবার নববধুকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো সেদিন। তবে কথা দিয়েও কথা রাখেননি সেই চিংড়ি জামাই। ক্ষমা চাওয়ার পর এখন ফ্রিতেই বউ দেয়ার আবদার করছেন তিনি।
সালিশে দেয়া কথা না রেখে বরপক্ষের ডিগবাজি ও চারপাশের কানাঘুসায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন কনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন।
বলেন, এমনিতে মেয়ে তুলে দেয়াতো সম্ভব না। আমি কী করব বুঝতে পারছি না। তারা (ছেলে পক্ষ) কথা দিয়েও কথা রাখেনি। এখন মনে হচ্ছে বিয়েটা ভাঙ্গাভাঙ্গি হয়ে গেলেই মঙ্গল হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর