চট্টগ্রাম: দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন নিয়ে চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য দিয়েছেন পুলিশকে।
জিজ্ঞাসাবাদে মিতু বলেন, বিয়ের পরও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তথা দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন নিয়ে নানা কথা। তবে ডা. আকাশের এমন মৃত্যু কামনা করেননি জানিয়ে স্বামী আকাশের মৃত্যু তাকে কষ্ট দিয়েছে বলে জানান।তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিতুকে আদালতে সোপর্দ করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রিমান্ডে মিতুকে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
আদালত সূত্র জানা গেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মিতুর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় চাওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের জানান, ডা. আকশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পরিবারের করা মামলায় স্ত্রী মিতুর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার বেশিরভাগই স্বীকার করেছেন। বিয়ের পরও বেশ কয়েকজন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
জানা যায় জিজ্ঞাসাবাদে মিতু জানান, যুক্তরাষ্টে থাকাকালে প্যাটেল নামে এক ছেলেবন্ধুর সঙ্গে তিনি একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। এর আগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিতু। তবে শোভন নামে চুয়েটের এক ছাত্রসহ একাধিক ছেলেবন্ধু থাকার কথা স্বীকার করলেও মিতু তাদের সঙ্গে শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন।