চট্টগ্রাম: ময়ুরপঙ্খী তখন ১৫ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল। হঠাৎ উড়োজাহাজের ভেতরে যাত্রীদের আসনে থাকা এক ব্যক্তি উঠে ককপিটের দিকে আসেন। এ সময় ওই ব্যক্তি এক ক্রুর কাছে যান। কাছে গিয়ে তিনি ওই ক্রুকে ধাক্কা দেন এবং অস্ত্র বের করে বলেন, 'আমি বিমানটি ছিনতাই করব!' - চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসা একজন ক্রু সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন।
সেই ক্রু বলেন, সেই ব্যক্তির এমন আচরণ দেখে পাইলট মোহাম্মদ শফি ও সহকারী পাইলট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বিমানটির ককপিটের দরজা বন্ধ করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা কৌশলে জরুরি অবতরণের জন্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বার্তা পাঠান। ওই সময় বিমানটি চট্টগ্রাম ও ঢাকার মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছিল। ককপিট বন্ধ করে দেওয়া আরও ক্ষেপে যায় সেই অস্ত্রধারী ব্যক্তি। তিনি চিৎকার করছিলেন। রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলছিলেন, 'ককপিট না খুললে বিমান উড়িয়ে দিব।'
নিজের হুমকির প্রমাণ করতে সেই অস্ত্রধারী বিমানের মধ্যে একটি বিস্ফোরণ ঘটায়। অবশ্য অন্য একটি সূত্র গুলির কথাও জানিয়েছে। এর মধ্যেই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফেলেছে। তবে ওই অস্ত্রধারী ফ্লাইট স্টুয়ার্ট সাগরকে আটকে রাখে। উড়োজাহাজ অবতরণের পর কৌশলে উড়োজাহাজের ডানার পাশের ৪টি ইমারজেন্সি গেট দিয়ে ১৪২জন যাত্রী নিরাপদে নেমে পড়েন। বিমানে দুই পাইলট ছাড়াও ৫জন ক্রু ছিলেন; যাদের মধ্যে দুজন নারী।