চট্টগ্রাম : রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার বগাখালী গ্রাম। শহর থেকে নৌপথে সাত দিনের রাস্তা। সেই গ্রামে গত চারদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক প্রসূতি নারী জিতনি তংচঙ্গ্যা (২৩)।
কোনো উপায় না পেয়ে অবশেষে তাকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সোমবার দুপুর ২টার দিকে ওই প্রসূতিকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। জিতনি তংচঙ্গ্যা রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার বগাখালী গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্র তংচঙ্গ্যার স্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চারদিন ধরে নিজ ঘরে প্রসব বেদনায় ছটফট করছিলেন জিতনি তৎচঙ্গ্যা। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে ডাকা হয়েছিল ধাত্রী ও ওঝাকে। কিন্তু চারদিন ধরে ধাত্রী তার প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়। এদিকে কাছাকাছি কোনো হাসপাতাল না থাকায় এক পর্যায়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বলেই ধরে নিয়েছিল তার পরিবার।
বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে আজ সকালে জতনিকে বগাখালীর বিজিবির সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এই প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন।
দুপুর ২টার দিকে হেলিকপ্টার সেনানিবাসে অবতরণের পর দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে জিতনিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। জিতনির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।