নিউজ ডেস্ক : দাম আরও বাড়বে সে আশায় নিজেদের গুদামে মজুদ করে রাখা পেঁয়াজে পচন ধরেছে। সে পচা পেঁয়াজ এখন আড়ত থেকে বের হচ্ছে প্রতিদিন। এ নিয়ে ভোক্তারা বলছেন এক কথায়, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের পাশেই চাক্তাই খাল। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খালের কিছুটা দূরে রাতের অন্ধকারে বস্তা পচা পেঁয়াজগুলো কে বা কারা ফেলে গেছে। পেঁয়াজগুলো আকারে ছোট।
ফেলে যাওয়া পচা পেঁয়াজের বস্তা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষরা খাওয়ার উপযোগী পেঁয়াজ বেছে নিচ্ছেন। ওখানকার ব্যবসায়ী আলতাফ মাহামুদ জানান, পেঁয়াজগুলো মিয়ানমার থেকে আমদানি করা। এসব পেঁয়াজ যখন খাতুনগঞ্জে ঢুকছিল, তখন কিছুটা পচা ছিল। আর আড়তে মজুদ করে রাখার ফলে একেবারে পচে গেছে। তবে তিনি পচা পেঁয়াজের আড়তদারের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি।
চাক্তাই এলাকার চাল ব্যবসায়ী আবুল হাসেম বলেন, পেঁয়াজ পচলে ব্যবসায়ীদের কোনো অসুবিধা নেই। কারণ যে পরিমাণ পেঁয়াজ পচবে তার ক্ষতি পোষাতে ভালো পেঁয়াজের দাম বাড়াতে থাকবে তারা। এখন প্রতিদিন পচা পেঁয়াজ আড়ত থেকে বের হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এসব আড়তদারকে খোঁজে বের করা। আড়তে কারা পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছে, এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এমনকি চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহেসান উল্লাহ জাহেদীও পচা পেঁয়াজের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি। তিনি বলেন, পেঁয়াজ তো বেশি দিন মজুত করে রাখা যায় না। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের অনেক আড়তে পানি ঢুকেছে। তখন হয়তো আড়তে পানি ঢুকে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হতে পারে। সূত্র: আমাদের সময়।