চট্টগ্রাম থেকে : হাসপাতালের ভেতর থেকে মায়ের হাত ধরে ফিরছিলো ছোট্ট জিহাদুল ইসলাম সিয়াম (৪)। হঠাৎ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বাবাকে দেখেই মায়ের হাত ছেড়ে দৌড়। কিন্তু রাস্তা পেরিয়ে আর বাবার কোলে ওঠা হয়নি ছোট্ট সিয়ামের।
মাঝ পথে দ্রুতগতিতে আসা এক ডাক্তারের প্রাইভেটকারের নিচে পড়ে স্তব্ধ হয়ে যায় সে। ঘটনার আকস্মিকতায় কিংকর্তব্যবিমুখ হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা ক্যাবল মিস্ত্রি কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী আলেয়া আক্তার সোনিয়া সাড়ে তিন বছর বয়সী ছেলে সিয়ামকে নিয়ে সীতাকুণ্ড হাসপাতালে যান। পরে কামরুল গেটে দাঁড়িয়ে স্ত্রী সন্তানকে ভেতরে পাঠান।
সেখানে সোনিয়া ডাক্তার দেখিয়ে ছেলে সিয়ামকে নিয়ে বের হবার সময় সিয়াম হাসপাতালের গেটে রাস্তার ওপারে বাবাকে দেখে মায়ের হাত ছেড়ে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে বাবার দিকে ছুটে যায়। কিন্তু সে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সড়কে ডাক্তার প্রিয়াংকা চৌধুরীর চলন্ত গাড়ির নিচে পড়ে যায়।
এ সময় ডাক্তারের গাড়ির চাকা শিশুটির গলা ও মাথার উপর দিয়ে গেলে মুহূর্তেই সবশেষ। এ সময় তার মা-বাবাসহ অন্যরা দ্রুত ছুটে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃ'ত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পর হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিওতেও ঘটনার এই বর্ণনা দেখা যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিউল আলম মুরাদ। সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ডাক্তারের কোনো দো'ষ ছিল না। ভিডিও ফুটেজে এর প্রমাণ আছে।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মো. শামীম শেখ বলেন, অবুঝ শিশুটি নিজেই গাড়ির নিচে পড়েছে। এ জন্য তার পরিবার আর কোনো অভিযোগ করতে চায় না। তবুও আমরা লা'শের সুরতহা'ল ও অ'পমৃ'ত্যু মামলা দায়ের করেছি।