চট্টগ্রাম: আশ্চ'র্য হলেও সত্যি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ‘দুধ কলা’ দিয়ে পোষা হচ্ছে সাপ! রাখা হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে! তবে, অন্য কিছু নয়। সাপের বিষের প্রতিষে'ধক তৈরির লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যতিক্র'মী এই গবেষণাগার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় গৃহীত ৫ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে যু'ক্ত আছেন দেশি-বিদেশি গবেষকরা।
দুই বছর আগে ৫টি সাপ নিয়ে শুরু, এখন সাপের সংখ্যা ১২০ টি। এর মধ্যে ৪৪টি প্রাপ্ত বয়স্ক, বাকি সব বাচ্চা।
এটি মূলত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসং'ক্রা'মক রোগ নিয়'ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘এন্টি'ভেনম’ বা প্রতিষে'ধক তৈরির প্রকল্প। সাপে কা'টার কারণে যাতে কারও মৃ'ত্যু না হয়, সেজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী দু’বছর আগে নেয়া হয় এ প্রকল্প।তিন পদ্ধতিতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাপ সংগ্রহ ও বি'ষের বৈশিষ্ট্য নিরু'পন হয় এই গবে'ষণাগারে। আক্রা'ন্ত কেউ সাপ ধ'রে আনলে তাও সংর'ক্ষণ করা হয়।
গবেষণাগারে নেয়ার আগে দুমাস রাখা হয় কোয়ারে'ন্টাইন রুমে। সাপ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য আছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ও ভেটেরি'নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন চিকিৎসক।
তবে প্রতিষে'ধক তৈরি একটি দীর্ঘ প্রক্রি'য়া, জানালেন প্রকল্পের মূখ্য গবেষক অনিরু'দ্ধ ঘোষ।তিনি জানান, আমরা মাত্র এক/দুই ধাপ পার হতে পেরেছি। আমাদের অনেক সাপ সংগ্রহ করা বাকি, ভেনমও সংগ্রহ করতে হবে।খাবার হিসেবে সাপগুলোকে দেয়া হয় মুরগীর বাচ্চা, মাছ ও ইঁদুর। বাচ্চা সাপকে মু'খে তুলে খাইয়ে দেয়া হয়।