চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের দেওয়ান হাট রেললাইনের পাশে জন্ম নেয়া এক নবজাতককে কুকুরের মুখ থেকে ছি'নিয়ে নিয়ে প্রাণে বাঁ'চালো ডবলমুরিং থানা পুলিশ। জন্মদা'ত্রী মা মানসি'ক ভারসা'ম্যহী'ন হওয়ায় সদ্যজাত শিশুটি কুকুরের পেটে যাওয়ার উপক্র'ম হয়েছিল। এমনকি অতিরি'ক্ত র'ক্তক্ষ'রণে মূমু'র্ষূ অবস্থায় র'ক্ত দিয়ে সুস্থ করেছে আরেক পুলিশ কনস্টেবল। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে দেওয়ানহাট রেললাইনের কাছে নবজাতকটিকে পা'ওয়া যায়। মা’সহ শিশুটিকে উদ্ধা'র করে এসআই আলাউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যান।
এসআই আলাউদ্দিন জানান, স্থানীয় এক ছেলে এসে জানায় দেওয়ানহাট রেলওয়ে ডকের পাশে একটা বাচ্চা পড়ে আছে। টহল টিম দ্রু'ত গিয়ে দেখতে পায়, রেললাইনের পাশে একটা বাচ্চা নিচু স্বরে কান্না করছে। সারা শরীরে র'ক্তমাখা ছিল। দূরে একটা মহিলা শু'য়ে আছে। দেখলাম মানসি'ক সম'স্যা আছে। বেশ কয়েকটি কুকুর শিশুটির পাশে ঘু'রছিল খাবার মনে করে। মা ও শিশুটি চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে মা ও শিশু হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৫০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। শিশুটিকে একই হাসপাতালের আইসিই'উতে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ভোর ৫টার দিকে শিশুটির জন্ম হয়েছে। শীতের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে থাকায় তার বুকে ঠা'ণ্ডা লেগেছে। এজন্য তাকে আইসিই'উতে রাখা হয়েছে। প্রচুর র'ক্তক্ষ'রণ হওয়ায় মায়ের শরীর খুবই দুর্বল ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে ডবলমুরিং থানার এএসআই মেহেদি তাকে র'ক্ত দিয়েছেন। এছাড়া ওষুধ-ইনজে'কশনসহ আনুষ'ঙ্গিক খরচও ডবলমুরিং থানা দিচ্ছে।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদ'ন্ত) মো. জহির হোসেন জানিয়েছেন, শিশুটি সুস্থ হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে অভিভাবকের ব্যবস্থা করা হবে। এর আগ পর্যন্ত যত সাপো'র্ট দরকার, সব পুলিশ দিবে। এসআই আলাউদ্দিন জানান, পুলিশ যখন বাচ্চাটিকে উদ্ধা'রের জন্য যায়, ৫-৬ টা কুকুর আশপাশে ঘো'রাফে'রা করছিল। কিছু সময় পেলে হয়তো শিশুটি কুকুরের খাবারে পরিণ'ত হত।