চট্টগ্রাম থেকে : নগরীর শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্য'র্থতার পাশাপাশি যথাযথ উন্নয়ন করতে না পারাই কাল হলো আ জ ম নাছিরের জন্য। সেই সাথে ছিলো প্রতিপক্ষকে আস্থায় আনতে না পারার কারণে সৃষ্ট মা'রা'ত্ম'ক অভ্য'ন্তরীণ বিরো'ধ।
আর তাই চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থিতা থেকে শেষ মুহূর্তে ছি'টকে পড়তে হলো তাকে। এমনটিই মনে করছেন দলীয় নেতা কর্মীরা। অনেকটা নাটকীয়ভাবে চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গেলেন যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। মনোনয়ন দৌড়ে যিনি ছিলেন একেবারে পেছনের দিকে।
এখন চলছে বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের বাদ পড়া নিয়ে দলীয় নেতাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশেষ করে মেয়র হওয়ার পর বক্তব্যে উন্নয়ন কাজের জন্য ৫ শতাংশ হারে কমিশন দিতে হয় উল্লেখ করে আমলাদের খে'পিয়ে দেন তিনি। যে কারণে নগরীর যথাযথ উন্নয়ন হয়নি বলে অ'ভিযো'গ রয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল বলেন, 'সবার অতীত কার্যক্রম বিবেচনায় এনে দলের শীর্ষ নেতারা মনে করেছেন এই মুহূর্তে রেজাউল করিম চৌধুরী সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী। উনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সক্রিয় নেতা হিসাবেই রাজনীতিতে আছেন রেজাউল করিম।'
বাবুল বলেন, 'আমি মনে করি একজন রাজনৈতিক নেতাকেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। এটা যদি আমরা এভাবে নেই, নানা বক্তৃতায় নেত্রী সবাইকে সাবধান করছেন, দুর্নী'তির বি'রু'দ্ধে নেত্রী যখন সোচ্চার, দলীয় কর্মীদের শাসন করছেন, তখন রেজাউল করিমের মনোনয়ন পাওয়াটা যারা নিবেদিত প্রাণ কর্মী তাদের জন্য সুখবর।'
নগর আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, 'আ জ ম নাছির একবার বলেছিলেন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর উন্নয়ন কাজ করতে ৫ শতাংশ হারে কমিশন দিতে হয়। এজন্য অনেকেই খেপেছেন। যে কারণে ২/৩ বছর তেমন কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি নগরীতে। কারণ এ সময় উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ আসেনি। আর বরাদ্দ না পেলে উন্নয়ন হবে কীভাবে। নগরীতে যে রকম উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিলো সে রকম উন্নয়ন হয়নি।'
নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন-নাছিরের দ্ব'ন্দ্ব নতুন কিছু নয়। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃ'ত্যুর পর তার ছেলে রাজনীতিতে আসেন। কিন্তু নওফেল বাবার অনুসারীদের নিয়ে বিরো'ধে না গেলেও সেই বিরো'ধ মেটাতে ব্য'র্থ হন আ জ ম নাছির। কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর বলেন, 'নগর আওয়ামী লীগের বিরো'ধ মেটাতে নাছির ভাই কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনকি উন্নয়ন কাজেরও কোনো সমন্বয় ছিলো না।'
এদিকে মেয়র পদে নাছিরের বাদ পড়া এবং একেবারে নতুন হিসাবে রেজাউল করিমের মনোনয়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতি'ক্রিয়া। ২০১৫ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সবশেষ নির্বাচনে প্রায় ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির এম মঞ্জুর আলমকে হা'রান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির।