চট্টগ্রাম থেকে : বিয়ে অনুষ্ঠানে খাবার নিয়ে চট্টগ্রামে ল'ঙ্কাকা'ণ্ড ঘটেছে। খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বর পক্ষের লোকজন ক্ষি'প্ত হয়ে মা'রামা'রি শুরু হবে। কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে পুলিশকে ফোন দেয়। পুলিশ আসার পর মা'রামা'রি থামলেও ভে'ঙে গেছে বিয়ে।
বরপক্ষের আচরণে কনে পক্ষের লোকজন বিয়ে ভে'ঙে দেন। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সরকার হাট এলাকার আল-আমিন কমিউনিটি সেন্টারে গত শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের কনে শাবনুর আকতারের মামা বলেন, খাওয়ার জন্য মানুষ এরকম করে, আর দেখি নাই। বর আসার পর ভাত দিতে দেরি হওয়ায় তার ভাই লঙ্কা কা'ণ্ড করে ফেলছে।
আমাদের কয়েকজনকে মেরে আহ'ত করেছে। তারপরও আমরা শান্ত থেকেছি। কিন্তু বরের ভাই, বাবাসহ কেউ শান্ত না হওয়ায় পুলিশ এসে দু'পক্ষকে সমঝোতায় আনতে চেয়েছিল। তবে তাদের আচরণ দেখে আমরা মেয়েকে তুলে দিইনি। প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বিয়েতে।
বরের ভাই অ'ভিযু'ক্ত সোহেল বলেন, আমার ভাই আসার ২ ঘণ্টা পরও ভাত দিচ্ছে না, তাই একটু কথা কা'টাকা'টি হয়েছে। এজন্য নাকি ওরা মেয়ে দিবে না। মেয়ের পক্ষ হয়ে এতো অহংকার কিসের, তাই আমরাও আনি নাই। মা'রামা'রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অ'ভিযো'গ অ'স্বী'কার করেন।
আনোয়ারা থানার এসআই শামসুজ্জামান বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মা'রামা'রির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। দু'পক্ষকে শান্ত করি। কিন্তু বরপক্ষের আচরণে কনেপক্ষ মেয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই বরপক্ষ বিয়ে না পড়ে চলে যায়। ১৮ই ফেব্রুয়ারি দু'পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি।
পুলিশ জানায়, আনোয়ারা উপজেলার মহতর পাড়া গ্রামের শরীফ মেম্বারের বাড়ির রবিউল হোসেনের ছেলে মো. রুবেলের সঙ্গে বাঁশখালী বেলগাঁও গ্রামের হারুনের বাড়ি আব্দুল মোতালবের মেয়ে শাবনুর আকতারের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান চলার একপর্যায়ে বর আসে।
বর আসার পর বরকে এবং বরের মাকে খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বরের ভাই সোহেল ক্ষি'প্ত হয়ে মা'রামা'রি শুরু করে। এক পর্যায়ে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ মা'রামা'রি থামানোর চেষ্টা করেও না পারায় পুলিশকে ফোন দেয়। সূত্র: মানবজমিন