চট্টগ্রাম থেকে : একটি খু'নের মামলায় পলা'তক আসামিকে চার মাস ধ'রে হ'ন্যে হয়ে খুঁ'জছিল পুলিশ। গো'পন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ওই আসা'মি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন। গু'রু'তর অ'সু'স্থ বাবার র'ক্তের জোগাড় করে দিতেই তিনি মেডিকেলে আসেন।
পুলিশ তাকে সেখানে গ্রে'প্তার করতে যায়। দেখতে পায় ওই আসামির বাবার জ'রুরি ভিত্তিতে র'ক্তের দরকার। তবে আসামিকে গ্রেপ্তার করলে বাবা র'ক্ত সম'স্যায় পড়তে পারেন। এই বিষয়টা দা'গ কা'টে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের আকবর শাহ থানার উপ পরিদর্শক বদিউল আলমের মনে। তিনি এমদাদ হোসেন নামের ওই আসা'মিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নিজেই আসা'মির বাবাকে র'ক্ত দান করেছেন।
গত শনিবার রাতের এই ঘটনা জানাজানি হতেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের প্রশং'সায় ভাসছেন এসআই বদিউল। সহকর্মীরাও তাকে এই মহতী কাজের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তবে বদিউল বলছেন, তিনি মানবতার খা'তিরেই কাজটি করেছেন। কোনো ধ'রনের প্রশংসা পাওয়ার জন্য নয়।
জানা যায়, আকবরশাহ থানার কৈবল্যধাম রেললাইনের স'ন্নিক'টে রশিদের কলোনিতে গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে একটি খু'ন হয়। গায়ে হলুদে গানবাজনাকে কেন্দ্র করে ওই খু'নের ঘটনায় নিহ'ত হন জসিম উদ্দিন নামের এক যুবক। এঘটনায় আকবরশাহ্ থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলাটির তদ'ন্তের দায়িত্ব পান আকবরশাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বদিউল আলম।
খু'নের ১৬ ঘণ্টার মধ্যে হ'ত্যার রহ'স্য উ'দঘা'টন করেন এসআই বদিউল। একইসঙ্গে হ'ত্যাকা'ণ্ডে জড়িত ছয় আসামির পাঁচজনকে গ্রে'প্তার করেন। তারা হলেন- সাকিব, জীবন, নুরুদ্দিন, জাহিদ এবং শহীদ। এদের সবাই আদালতে স্বী'কারো'ক্তিমূলক জ'বানব'ন্দিও দিয়েছেন। তবে পলা'তক রয়ে যায় অপর আসামি এমদাদ।
দীর্ঘ চার মাস ধ'রে তাকে গ্রে'প্তারের চেষ্টা করেন এসআই বদিউল আলম। সবশেষ শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে এমদাদকে গ্রে'প্তার করতে সমর্থ হন এসআই বদিউল। এমদাদকে গ্রে'প্তারে অভিযানে এসআই বদিউলের সঙ্গে এসআই এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মো. সায়েম, সহকারী উপপরিদর্শক নিখিল চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োজিত নায়েক মোহাম্মদ আমির হোসেন অংশ নেন।
আরও পড়ুন : মাটিতে মাদুরে বসেই শিশুদের পড়ালেন এমপি তুহিন
গ্রে'প্তারের পর এমদাদ ওই খু'নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি স্বী'কার করে পুলিশকে জানান, গত চার মাস ধ'রে গ্রে'প্তার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন এলাকায় আ'ত্মগো'পনে ছিল। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গো'পনে তার বাবাকে এক ব্যাগ ও পজেটিভ র'ক্ত দেয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য এসেছেন। মানবিক বিষয়টি না'ড়া দেয় এসআই বদিউলের মনে। এমদাদের বাবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিজেই র'ক্ত দেন।
এ ব্যপারে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ''এটা আসলে একটি ইতিবাচক দিক। মামলার তদ'ন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বাবাকে র'ক্ত দিয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊ'র্দ্ধ'তন কর্মকর্তাদের ন'জরে এনেছি। উনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন বদিউল আলমের ব্যাপারে। এখানে প্রতিমাসেই ভালো কাজের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।'' সূত্র : ডিএমপি নিউজ