চট্টগ্রাম থেকে : দেশে যে সময়ে করোনা ভাইরাস আক্রা'ন্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ঠিক সেসময় গার্মেন্ট কারখানা খোলা রাখা নিয়ে দ্বি'ধায় চট্টগ্রামের গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ আক্রা'ন্ত রোগী শনা'ক্ত হওয়ায় পোশাক কারখানার মতো শ্রমঘ'ন প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শ'ঙ্কায় আছেন তারা।
এমন পরি'স্থিতিতে গার্মেন্ট বন্ধ রাখার ব্যাপারে বিজিএমইএ ও সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। বর্তমান করোনা সং'ক্র'মণ পরি'স্থিতিতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে বর্তমান পরি'স্থিতিতে করণীয় নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। একাধিক গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, করোনা ভাইরাস সং'ক্র'মণের বর্তমান পরি'স্থিতিতে কারখানা বন্ধ রাখার পক্ষে সবাই। বিশেষ করে গত দুইদিনে হঠাৎ করে করোনা ভাইরাস আক্রা'ন্ত রোগী শনা'ক্তের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই রো'গীদের একজন চট্টগ্রামের চি'হ্নিত হওয়ার পর থেকেই মূলত আগামীকাল গার্মেন্ট কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্তহী'নতায় ভু'গছেন।
তারা সরকার কিংবা বিজিএমইএ থেকে সুষ্পষ্ট নির্দে'শনা চান। কেউ নিজেদের ঘাড়ে দায় নিতে চায় না। এদিকে করোনা পরি'স্থিতি বিবেচনায় আগামী চট্টগ্রামে আগামীকাল সব কারখানা খুলছে না। অনেক কারখানা সরকারি ছুটির সাথে তালমিলিয়ে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দীর্ঘায়িত করেছে। চট্টগ্রাম ইপিজেডের জাপানি মালিকানাধীন কারখানাগুলো আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এর বাইরে ব্যক্তি মালিকানাধীন অনেক কারখানাও তাদের কর্মীদের ছুটি বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশী মালিকানাধীন বাংলাদেশ স্পিনার্স অ্যান্ড নীটার্স লিমিটেডের (বিএকেএল) ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও কমপ্লাইয়েন্স) কামরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ''পরি'স্থিতি বিবেচনায় সরকারি ছুটির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আমরা ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।''