মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০, ১১:১১:২৩

চট্টগ্রামে গিয়েও যে ঘৃণিত কাজটি করেন শাহেদ

চট্টগ্রামে গিয়েও যে ঘৃণিত কাজটি করেন শাহেদ

চট্টগ্রাম থেকে : প্রভা'বশা'লী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক পরিচয়ধা'রী চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী ২০০ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢাকায় চালানোর ধা'ন্দা থেকে আরেক ধা'ন্দাবা'জের দ্বা'রস্থ হন। আর এভাবেই শুরু হয়েছিল প্রতা'রক সাহেদ করিমের আরো একটি প্রতা'রণা বাণিজ্য। যা তিনি করেছিলেন সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানের ভুয়া পরিপত্র ধ'রিয়ে দিয়ে। 

আর এ ঘ'টনায় মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে সাহেদের প্রভাবে পুলিশের দুই কর্মকর্তার দ'ণ্ড লাভ হয়, আরো দুইজনের  বি'রু'দ্ধে এখনো চলছে মামলা। জানা যায়, অটোরিকশাগুলো ঢাকায় চলার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানের ভুয়া পরিপত্র ধ'রিয়ে দিয়ে 'মেসার্স মেগা মটরস' নামের ওই প্রতিষ্ঠানকে উ'ল্টো বি'পদে ফেলেন এই ধূ'র্ত প্র'তা'রক।

সম্প্রতি সাহেদের বিভিন্ন অ'পক'র্ম প্রকাশের পর গত ১৩ জুলাই মেসার্স মেগা মটরসের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই সাইফুদ্দিন বাদী হয়ে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আ'ত্মসা'তের অ'ভিযো'গে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন। থানার ওসি সুদীপ কুমার দাশ জানান, প্রতা'রণার মাধ্যমে টাকা হা'তিয়ে নেওয়ার অ'ভিযো'গেই সাহেদের বি'রু'দ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর খোয়াজনগরে মেগা মটরসের গু'দামে ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা জব্দ করার পাশাপাশি আ'টক করা হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিক জিয়া মো. জাহাঙ্গীর ও ম্যানেজার জাহেদকে। উপপরিদর্শক আফতাব হোসেন ও রাজেস বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন টিম ওই অভিযান চালায়। পরে অতিরিক্ত উপকমিশনার হুমায়ুন কবিরও অভিযানস্থলে যান। 

অটোরিকশাগুলো ছাড়াতে ওই দিন অনেক প্রভা'বশা'লী ব্যক্তি পুলিশের কাছে ত'দবির করেন। পরে চা'প তৈরি করে অটোরিকশাগুলো ছাড়িয়ে নেন। ক্ষি'প্ত হয়ে পরদিন ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে গিয়ে নগর পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনারকে সাহেদ প্রশ্ন করেন, ''ঢাকা থেকে ফোন করার পরও কেন অটোরিকশা ছাড়াতে তাকে চট্টগ্রামে আসতে হলো।'' অতিরিক্ত কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাহেদ যেসব কথা বলেন তা লেখা রয়েছে ডিবি পুলিশের সাধারণ ডায়েরিতে। 

সেখানে উল্লেখ করা আছে, ''তার হাত মন্ত্রী, সচিব ও বা'হিনীর ঊর্ধ্ব'তন অফিসার পর্যন্ত। তার কথা সবাই শুনতে বাধ্য।'' ডায়রিতে সাহেদকে উ'দ্ধৃ'ত করে লেখা হয়, ''চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরসহ দেশের অনেক ব্যবসায়ীকে বিআরটিএর মাধ্যমে সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিতে সহায়তা দিই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব, যাতে তোমাদের বি'রু'দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সিকি'উরিটি সেল আমার হাতের মুঠোয়।''

সিকি'উরিটি সেলে পরিদর্শক পদে কর্মরত আফতাব হোসেন বলেন, ''প্রভা'ব থাকলে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। এ কারণে আমরা এখন শা'স্তির মুখো'মুখি। অথচ অটোগুলোয় দুটি চেসিস নম্বর ছিল, যা বিআরটিএর প্রতিবেদনেও প্রমাণ হয়েছে।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে