চট্টগ্রাম থেকে : ভারত থেকে আমদানি করা কনটেইনারভর্তি পঁচা মাংসের দু'র্গ'ন্ধে ত্রা'হি অবস্থা চট্টগ্রাম বন্দরে। কেউ সেখানে যেতে পারছে না। ফলে বন্দরের কাজকর্ম ব্যাহ'ত হচ্ছে। এ ত'থ্য জানিয়েছেন সেখানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। বন্দরের ইয়ার্ড থেকে শীঘ্রই নিরা'পদে কনটেইনারটি সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আক্কাছ আলী জানান, পঁচা মাংসের দু'র্গ'ন্ধে গত ৪-৫ দিন ধ'রে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কর্মরত শ্রমিকরা শ্বাস নিতে পারছেন না। তাদের এখন ত্রা'হি ত্রা'হি অবস্থা। পরিবহণ শ্রমিকরা সেখানে যেতে না চাওয়ায় বন্দরের কাজকর্ম ব্যা'হ'ত হচ্ছে।
বন্দর সূত্র জানায়, ঢাকার সিআর দত্ত সড়কে অবস্থিত ইগলু ফুডস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে এক কনটেইনার মহিষের মাংস আমদানি করে। কনটেইনারটি ইয়ার্ডে রাখার পরপরই পঁ'চা দু'র্গ'ন্ধ ছড়াতে থাকে। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের কমর্কর্তাদের অব'হিত করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী জানান, তাদের কর্মকর্তারা গত ২৭শে সেপ্টেম্বর বন্দরে গিয়ে কনটেইনারে পচে যাওয়া মাংস শ'না'ক্ত করে। মাংস থেকে ছড়ানো দু'র্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ দূ'ষি'ত হওয়ার প্রমাণও পায় তারা। এরপর শুনানি শেষে ইগলু ফুডস এবং খা'লাসের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্ণফুলী লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা করে জ'রিমা'না করা হয়।
সেই সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মহিষের মাংসগুলো খালাসের জন্য তিন দফা নির্দে'শনাও দেয়। নির্দে'শনাগুলো হচ্ছে- কনটেইনার থেকে পচা মাং'স এমনভাবে খালাস করতে হবে যাতে কোনো প্রাণী সেটা খেতে না পারে। পচা মাংস থেকে মাটি, পানি ও বাতাসে যেন দূ'ষ'ণ না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপর পরিবেশসম্মত উপায়ে কনটেইনারটি পরিষ্কার করতে হবে। তবে ওই নির্দে'শনা এখনো বাস্তবায়ন করেনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।