বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৬:৫৯:৫৮

আল্লামা শফিকে খাবার ও ওষুধ দিত না, 'অস্বাভাবিক' মৃত্যুর তদন্ত দাবি

আল্লামা শফিকে খাবার ও ওষুধ দিত না, 'অস্বাভাবিক' মৃত্যুর তদন্ত দাবি

চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রামে আল্লামা শাহ আহমদ শফির জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর প্রেস ক্লাবে আহম্মদ শফির অনুসারীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ মতবিনিময় সভায় বিপুল সংখ্যক আলেম-ওলামা অংশ গ্রহণ করে আহম্মদ শফির জীবনদর্শন নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ। আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ অভিযোগ করেন, আহম্মদ শফির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে সরকারের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, 'এখন থেকে আমরা সামনে যাব, পেছনের দিকে যাব না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যাচার করেছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, তারাই হেফাজতে ইসলামের মূল শত্রু।' এছাড়া আন্দোলনকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, তেমনি যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আলেম-ওলামাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কারা ঢাকায়, ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারীতে ষড়যন্ত্র করেছে সময় হলেই জাতির কাছে সব প্রকাশ করারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ। এ সময় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দীন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে আল্লামা আহমদ শফিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে, এমন দাবি করেন তিনি।

হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে উদ্দেশ্য করে মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন, আপনি অনেক বহুরুপী। আপনার সাথে আমার এক সময় ভালো যোগাযোগ ছিল। আপনি হেফাজতের সাথে প্রতারণা করেছেন। আপনি একজন বড় প্রতারক। রুমের মধ্যে এক রকম, বাহিরে গেলেই অন্য রকম। সরকারের সাথে কোথায় গেছেন, পায়ে ধরেছেন জানা আছে। সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নির্যাতনের কথা বলে আলেম-ওলামাদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন।

হেফাজত ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা আহম্মদ শফির শেষ তিন দিনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আলেম-ওলামারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা, ভাঙচুর হয়েছে। আল্লামা শফির ওপর তিলে তিলে নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে তিলে তিলে নির্যাতনের মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল। এটাই হত্যার মূল কারণ। তদন্ত হলে কাদের এত ভয়! সমস্যাটা কোথায়। প্রশ্ন তোলেন আলেম-ওলামারা। সরকারের কাছে তদন্ত করারও দাবি জানানো হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে