চট্টগ্রাম থেকে : কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল্লামা শফির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাল্টা-পাল্টি অবস্থান নিয়েছে হেফাজতের দুই অংশ। এবার আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ এনে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে হেফাজতের অভিযুক্ত নেতারা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী মাওলানা মাইনুদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে আসতে শফির ছেলেকে হাটহাজারীতে বাধা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন আহমদ শফির পরিবার ও হেফাজতের একাংশ। এদিকে গত তিন দিনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষাদগার করছেন হেফাজত ইসলামের দুই অংশের নেতারা। বিশেষ করে আল্লামা শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে শ্যালক মাইনুদ্দিনের মামলা দায়েরের চার দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ অস্বীকার করেন হেফাজতের বর্তমান আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী।
আহমদ শফির শ্যালক মামলার বাদী মোহাম্মদ মইনুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'পরিবারের সদস্যদের হেফাজতের অপর অংশের নেতারা মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তারা সামাজিক যোগাযোগসহ নানা মাধ্যমে এটি করছি। এতে ভয়ের মধ্যে আছে পরিবার। আল্লামা শফির বড় ছেলে ইউসুফ মাদানীকে সংবাদ সম্মেলনে আসতেও বাধা দেয়া হয়েছে।' আল্লামা শফির মৃত্যু এবং হেফাজতের নেতৃত্ব নিয়ে এমনিতেই বিরোধ চলে আসছিল। এর মাঝে হেফাজতের ৩৬ নেতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি আদালতের নির্দেশে তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
হেফাজতের একাংশের আন্দোলনের মুখে তিন দিন অবরুদ্ধ থাকার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর অসুস্থ অবস্থায় হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বের হন তৎকালীন আমীর আল্লামা আহমদ শফি। পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তড়িঘড়ি করে কাউন্সিল আয়োজনের মাধ্যমে জুনায়েদ বাবুনগরী আমীর মনোনীত হন। অপরদিকে আল্লামা শফিকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগে ৩৬ জনকে আসামি করে ১৮ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করে তার পরিবার।