চট্টগ্রাম থেকে : সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিভিন্ন বাসায় ঘটেছে চুরির ঘটনা। এরপর থেকেই তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। খুঁজতে থাকে সেই চোরকে। অবশেষে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর স্টেশন রোড় থেকে গ্রেফতার করে শফিকুল ইসলাম নামে ওই চোরকে। নাম শফিকুল ইসলমা হলেও শইক্কা চোর নামেই তিনি পরিচিত।
পুলিশ জানায়, সুনামগঞ্জের বালু ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামই চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ চোর বলে নিশ্চিত হয়েছে। ১৫ দিনের টার্গেট নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ায় শফিকুল। খালি বাসায় ঢুকে স্বর্ণালংকার-মোবাইল সেট-ল্যাপটপ চুরি করে বিক্রি করে হকারদের কাছে। আবার চুরি করতে বাসায় ঢুকলে সেখানেই খাওয়া-দাওয়াও সেরে নেয় এই চোর।
এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নগরীর লাভলেইন এলাকার একটি বাসায় চুরির জন্য ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে শইক্ক্যা। অপর একটি বাসায় ঢুকে মালামাল চুরিও সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে। গত কয়েকদিন নগরীর অন্তত ৩টি বাসায় একইভাবে চুরি করেছে এই চোর। বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) লাভ লেইনের ওই বাসা থেকে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গিয়েছিলো শইক্ক্যা।
রোববার নগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে ইয়াবাসহ শফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল স্বীকার করে মূলত সেই চোর শইক্ক্যা। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে চোরাই পন্যের ক্রেতা এবং হকার্স নেতা আনোয়ারকে।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, 'এই চোর চুরি করার সময় সোনা কিনা চেক করে নেয়। চেক করে যেগুলো সোনা পায় সেগুলো নিয়ে যায়।' গ্রেফতার শইক্ক্যা জানায়, পারিবারিকভাবে তারা সুনামগঞ্জে বালু ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত। ভাইসহ পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বালু ব্যবসায় সম্পৃক্ত। কিন্তু হঠাৎ করে সে চুরি এবং খুচরা ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
খালি বাসায় চুরি করার সুযোগ পেলেই সে আগে ওখানে ভাতসহ অন্যান্য খাবার খেয়ে নেয়। এরপর ধীরে-সুস্থে দামি মালামাল চুরি করে। শফিকুল ইসলাম ওরফে শইক্ক্যা চোর বলেন, 'আমি কোন বাসায় চুরি করতে ঢুকেই প্রথমে ভাত খাই। তারপর ধীরে ধীরে চুরি করি।' শইক্ক্যার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। এর আগেও পুলিশ শইক্ক্যাকে দু'বার গ্রেফতার করেছিল।