চট্টগ্রাম: নাশকতায় বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা থেকে বাঁচল চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগ নেতার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার অফিসে গভীর রাতে নাশকতার চেষ্টা করেন বিএনপি সমর্থক এক ব্যবসায়ী। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি-নির্বাপন টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম না হলে এ ঘটনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে অন্তত ২০০ মানুষ মারা যাবার শঙ্কা ছিল।
লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের মালিকাধীন 'রিজেন্সি গ্যাস হাউজে' রাত পৌনে ২টার দিকে এই অগ্নিসংযোগ করা হয়। মুখোশ পরে আগুন লাগান বিএনপি সমর্থক এমরান। মুখে কাপড় ঢাকা থাকলেও ঘটনার ৪ দিনের মাথায় গতকাল তাকে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করেন স্থানীয়রা।
অগ্নিসংযোগকারী ওই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট 'অভিযোগ বা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে' বলে জানান সংশ্লিষ্ট খুলশী থানার ওসি শাহিন উজ্জামান।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত এমরান পাশেই একটি দখলকৃত চা দোকানের মালিক। ওই দোকানটি নজির আহমেদ নামে দখল করে ইমরানকে 'দখলদার' হিসেবে বসেয়েছিলেন, তিনি বিএনপির সমর্থক।
রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা দিদারুল আলম মাসুম । মাসুম জানান, ঘটনার পর দিনই মামলা করতে চাইলে পুলিশ নিরুৎসাহিত করে। তবে ৪ দিন পরে ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত হলে পুলিশ অভিযোগ দায়েরের জন্য জানায়।
গত ৩১ মার্চ গভীর রাতে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। নাশকতার কোন প্রমাণ না রাখার জন্য রাখতে ব্যবসায়িক কার্যালয়টির সিসিটিভি পয়েন্টে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল । তা সত্ত্বেও গতকাল উদ্ধার করা হয় হার্ডডিক্স । হার্ডডিক্স এর সেই ফুটেজ দেখে ওই অগ্নিসংযোগকারীকে শনাক্ত করলে পুলিশ তাকে আটক করে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় ২৮টি সিলিন্ডার ছিল মাসুমের ওই এলপিজি গ্যাস সেন্টার এ।
অগ্নিসংযোগকারীর সাথে পূর্ববর্তী কোন শত্রুতা ছিল না বলেই জানিয়েছেন দিদারুল আলম মাসুম। তবে ঘটনাটি নাশকতা প্রচেষ্টা কিনা তা অনুসন্ধান করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান খুলশী থানার ওসি।