ঘটনাটি নিয়ে পুরো চট্রগ্রামে তোলপাড়! প্রায় ২৫০ বছরেরও পুরনো একটি ভবন সংস্কারের জন্য মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে আসে একের পর এক কলস। আর এতে এলাকাজুড়ে গুজব রটে যায় মাটির নিচে গুপ্তধন পাওয়া গেছে।
আর এমন সংবাদ পাওয়া মাত্র ছুটে যান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক বিশেষজ্ঞ।
পরিদর্শন শেষে তারা জানান, এগুলো কোনো গুপ্তধন নয়। প্রায় তিন’শ বছর আগে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ভবনটির নিচে এসব কলস দেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে এটিই ছিল তৎকালীন সময়ের সর্বাধুনিক পদ্ধতি। এর পরপরই ভবনটি সংরক্ষণ করতে বিভিন্ন মহলের দাবি ওঠে।
খবর পেয়ে শনিবার (১০ জুলাই) কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটার নজুমিয়া লেনে পুরনো ভবনটি দেখতে ছুটে যান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভবনটি সংরক্ষণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এটি সংরক্ষণ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।