এমটিনিউজ ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই সদরে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় দুটি মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এ সময় বাসের যাত্রী, পথচারী, স্কুল শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই পৌরসদরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মীরসরাই সদরের সেবা আধুনিক হাসপাতাল ও মাতৃকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- রোজিনা আক্তার, নুরুল আবছার, সাইফুল ইসলাম, হালিমা বেগম, নিলুফা আক্তার মাসুদা, পাখি আক্তার, দিপক, শাকিল, বাস চালক আবুল বশর, শিশু সাদনান, আফসানা ইতি, মাহিন মোনতাহিন। অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতের মধ্যে নিলুফা আক্তার মাসুদার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে আহতদের দেখতে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে গেছেন মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মীরসরাই সদরের ফুটওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহণের একটি বাসের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায় সিডিএম পরিবহণের একটি বাস। বাস দুটি চলতে থাকে। কিছুদূর যাওয়ার পর মীরসরাই সরকারি মডেল স্কুলের সামনে আটকে যাওয়া শ্যামলী বাস থেকে ছুটতে বাম দিকে মোড় নিলে সঙ্গে সঙ্গে সড়কের পাশে পার্কিং করা দুটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয় সিডিএম বাস। এ সময় স্কুলের দেওয়ালের সঙ্গে আটকে বেশ কয়েকজন পথচারী এবং বাসে থাকা অনেক যাত্রী আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।
মীরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ রায়হান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চমেকে রেফার করা হয়।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।