নিউজ ডেস্ক : ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা বাতির করে নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার জন্য সরকারকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারকে এ সময় বেঁধে দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী মানসুরা মেহেরুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় মেধাকে মূল্যয়ন করা হচ্ছে না। এটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। আমরা সারাবছর কঠোর পরিশ্রম করে পড়ালেখা করেছি। কিন্তু একটি বিশেষ মহল পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নপত্র পেয়ে গেছেন, যা পরেরদিনের পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে পুরো মিল রয়েছে।
মানসুরা মেহেরুন বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তখন সব দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বড়ুয়া, সাদিয়া মৌ, আরফানুর রহমান, মাহিয়া তানজীন।
এর আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাব সড়কের একপাশে অবস্থান নেয় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে জনমত গঠনের লক্ষ্যে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও পালন করে তারা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন অভিভাবকরাও।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হয়, যাতে অংশ নেন ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ফলাফল ঘোষণা করেছে, তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৪৮ জন।
এ পরীক্ষার ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসে’ জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে শনিবার থেকে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে আসছেন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা।
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর