চট্টগ্রাম: মুছা এখন কোথায়? তাকে পাওয়া গেলেই জট খুলবে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের রহস্যের। মিতু খুনের অন্যতম সন্দেহভাজন মুছার নাম উঠে এসেছে গ্রেফতার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদেও। পুলিশের খাতায় মুছা পলাতক হলেও তার স্বজনদের দাবি, মুছা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। তবে মুছার হেফাজতে থাকার কথা অস্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেফতার তিন আসামি ওয়াসিম, আনোয়ার ও ভোলা তিনজনই মুছার কথা বলেছে। মুছাকে পাওয়া গেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তাই তাকে গ্রেফতার করাটাই এখন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’
জানা যায়, কামরুল ইসলাম ওরফে আবু মুছা সিকদারের গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে। তার বাবার নাম শাহ আলম সিকার। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মুছার অবস্থা তৃতীয়। অষ্টম শ্রেণি পাস করা মুছা জীবনের শুরুতে জীবিকার তাগিদে চলে যান সৌদি আরবে। ২০০০ সালে দেশে ফিরে আসেন। ২০০১ সালের শেষ দিকে প্রয়াত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সান্নিধ্যে এসে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের আতঙ্ক হয়ে ওঠেন মুছা। অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েও ছাড়া পান তিনি। এর পর থেকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সোর্স হিসেবে নানা অপকর্ম, খুন, রাহাজানি করে বেড়াতেন। সোর্সের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির বিভিন্ন দুর্ধর্ষ ক্যাডার ও অপরাধীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য।
কিন্তু মুছা সোর্স হওয়ায় পুলিশ কিংবা অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সন্দেহ করতেন না। ফলে মুছা হয়ে ওঠেন অন্ধকার জগতের ‘ডন’। তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় দুটি হত্যা, একটি ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।-বিডি প্রতিদিন
৩০ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ