চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডে কোনো অগ্রগতি নেই। বর্তমানে মামলাটি কোনদিকে যাচ্ছে কিংবা মূল হোতা পলাতক সেই মুসার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলছে না মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মনির হোসেন ওরফে মনির। জবানবন্দিতে মনির স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা তার কাছে অস্ত্রটি জমা রাখার কথা স্বীকার করেছে।
ভোলা বাকলিয়া এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার নির্দেশে সে অস্ত্রটি তার বাসায় রেখেছিল বলে আদালতকে জানিয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন অর রশিদ-এর আদালতে এ জবানবন্দি দেয় অস্ত্র মামলার আসামি মনির। তবে অস্ত্র মামলায় মিতু হত্যা মামলার আসামি অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা পুলিশ রিমান্ডে থাকলেও এখনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি সে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র নিজ ঘরে জিম্মা রাখার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আসামি মনির হোসেন মনির। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন অর রশিদ-এর আদালতে এ জবানবন্দি দেয় মনির। জবানবন্দি শেষে মনিরকে আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৭শে জুন রাত তিনটায় মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র দুটি নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকার কবির সওদাগর কলোনির পাশে এরশাদের কলোনিতে অভিযান চালিয়ে মনিরের বাসা থেকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় একটি অস্ত্র মামলা করা হয়। সেই মামলায় ১০ই জুলাই আদালত মনিরের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মনির হোসেন ওরফে মনির কুমিল্লার মুরাদনগরের জাফরনগর গ্রামের মৃত ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে।
গত ৫ই জুন সকালে নগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসা থেকে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে নগরীর জিইসি মোড়ে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।-এমজমিন
১৭ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ