চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সেই অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলাকে আরও দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। এ দুই দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন বলে মনে করেন পুলিশ সদস্যরা।
গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মোহাম্মদ নোমান এ রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী। এর আগে রিমান্ডে ভোলা গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য না দেওয়ায় তাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে রবিবার ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, একই মামলায় এর আগে ১০ জুলাই ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে বাকলিয়া থানার অস্ত্র মামলায়ও তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এবার আবারও ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত দুই দিন মঞ্জুর করে। এর আগে ১৪ জুলাই অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ভোলার কর্মচারী মনির হোসেন।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মনির জানান, পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পাঁচ থেকে সাত দিন আগে ভোলা একটি কাপড়ভর্তি শপিং ব্যাগ তাকে দিয়ে যান। ব্যাগের ভিতর কী ছিল তা জানতেন না বলে তার দাবি। পুলিশ ভোলাকে নিয়ে অভিযানে এলে ওই সময়ই প্রথম ব্যাগের ভিতর থাকা অস্ত্র দেখতে পান বলে জবানবন্দিতে দাবি করেন মনির।
তবে বাকলিয়া থানার ওই অস্ত্র মামলায় ২৮ জুলাই ভোলা ও মনিরকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহিম উদ্দিন। হত্যা মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার এর আগে ২৬ জুন আদালতে জবানবন্দি দেন।
এতে তারা উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান, কামরুল সিকদার ওরফে মুছা ও মো. কালু অংশ নেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। অস্ত্র সরবরাহ করেন ভোলা।
২২ জুন চট্টগ্রাম নগরের বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ মুছাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন তার স্ত্রী পান্না আক্তার। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে বলছে, মুছাকে খোঁজা হচ্ছে। পলাতক রয়েছেন আরেক আসামি কালু।
প্রসঙ্গত, ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।-বিডি প্রতিদিন
৩ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ