গাইবান্ধা: কনের বাড়িতে বিয়ের ধুমধাম চলছে। বরযাত্রী এসে পৌঁছেছে। চলছিল অতিথিদের খাওয়া-দাওয়া। এখন অপেক্ষা শুধু কাজী ও ইমাম সাহেবের। ঠিক এমন সময় আচমকা বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় একদল পুলিশ। নিমেষেই বদলে যায় উৎসবের চিত্র।
অবস্থা বেগতিক দেখে বর ও বরযাত্রী ভোঁ দৌড় দিয়ে এলাকা পার। ফলে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ হলে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় নার্গিস খাতুন (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া নার্গিস খাতুন ওই গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। সে হাঁসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নার্গিসের সঙ্গে মধ্য রামচন্দ্রপুর গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলামের (২৩) বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার রাতে কনের বাড়িতে বিয়ের ধুমধাম চলছিল। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশ উপস্থিতি দেখে বর ও বরযাত্রী ভোঁ দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পলাশবাড়ী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিব বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন গোপন খবরে অভিযান চালানো হয়। পরে ১৮ বছর না হলে মেয়ের বিয়ে দেব না এ মর্মে মেয়ের বাবার মুচলেকা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর হাসঁবাড়ী স্কুল মাঠে হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউনিয়নকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৬ ডিসেম্বর গোটা গাইবান্ধা জেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
২০ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর