গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি তার স্বামীর খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে মানুষটি জনগণের কল্যাণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে গেছে, সেই মানুষটিকে এভাবে কি কেউ হত্যা করতে পারে? সবার প্রতি আমার আবেদন আপনারা আমার স্বামীর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করুন। আমি শুধু আমার স্বামীর নৃশংস হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যেতে চাই।’
মঙ্গলবার বিকালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বামনডাঙ্গা আবদুল হক কলেজ মাঠে জেলা পুলিশের আয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খুরশিদ জাহান বলেন, ‘বিগত ১৯৯৮ সালের ২৬ জুন সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ মাঠে জামায়াত-শিবির আয়োজিত জনসভায় গোলাম আজমের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। সেসময় স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের এই সভা পণ্ড করে দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ লিটন তার বন্দুক হাতে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ওই জনসভায় প্রবেশ করে গোলাম আজমকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে জনসভাটি পণ্ড হয়ে যায়। সেই থেকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার বাহিনী লিটনকে যেকোনও মূল্যে হত্যার টার্গেট করে রেখেছিল। সেসময় তার গুলিতে আহত জামায়াতের ফতে খাঁ গ্রামের ক্যাডার হেফজসহ জামায়াত ক্যাডাররা লিটনকে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে এবং কল করে দীর্ঘদিন থেকেই হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।’
জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রী খুরশিদ আরও বলেন, ‘ওই গোলাম আজমের জামায়াত-শিবিরের খুনিরাই আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
খুরশিদ জাহানের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ পুলিশের (আইজিপি) একেএম শহীদুল বলেন, ‘লিটনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হত্যাকারী যেই হোক তারা কোনওভাবে বেঁচে যেতে পারবে না। লিটন হত্যাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে সেই আশ্বাস ও অঙ্গীকার করার জন্য সুন্দরগঞ্জে এসেছি।’
১১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর