মোঃ মামুুনুর রশিদ মন্ডল, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: সুন্দরগঞ্জের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ২৫ দিন পরেও তদন্তে উলে¬খযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের কুশীলবরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এমপি লিটন হত্যাকান্ডের প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এমপি লিটনের বড় বোন আফরুজা বারী লিখিত বক্তব্যে উলে¬খ করেন, লিটন আওয়ামী লীগের একজন অকুতোভয় কর্মী ছিলেন। সুন্দরগঞ্জ এলাকায় তিনি সততা, নিষ্ঠা, উন্নয়ন, শান্তি ও প্রগতির ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সময়ে লিটন তার সাথে সহযোদ্ধা হিসেবে সুন্দরগঞ্জের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা এমপি লিটনকে হত্যার মাধ্যমে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে।
আফরুজা বারী আরও উলে¬খ করেন, খুনিরা লিটন হত্যাকান্ডের জন্য নিরাপদ জায়গা হিসেবে তার নিজ বাড়িকেই বেছে নেয়। তিনি প্র্রশ্ন তোলেন, তার বাড়িটিই খুনিদের কাছে নিরাপদ বিবেচিত হলো কেন? কিভাবে খুনিরা পরিচয় না দিয়েই ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ার সুযোগ পেল? তাছাড়া লিটনের অতন্দ্র প্রহরী জার্মান শেফার্ড কুকুর দুটো ওই সময়ে কোথায় ছিল? কেন গিয়েছিল? দুর্বৃত্তরা রিভলবারের ৫টি গুলি করার পরও কেন তার নিকটজনরা লিটনের কাছে এলো না? লিটন গুলিবিদ্ধ হবার পর কাউকে কাছে না পেয়ে তাকে দৌড়ে বাড়ির ভেতরে আঙ্গিনার দিকে ছুটে যেতে হলো? তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, কেন লিটনের ঘনিষ্ঠজন, দলীয় নিবেদিত নেতাকর্মী এবং পরীক্ষিত সহযোদ্ধারা কেউই তার পাশে ছিল না, তাদের কি দুরে সরে দেয়া হয়েছিল?
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও হতাশ নই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হত্যাকান্ডের বিষয়টি দেখছেন। যারা তদন্ত করছে বা অন্য কাউকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে তিনিই সেটি ঠিক করবেন। এব্যাপারে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি। শীঘ্রই প্রকৃত খুনীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে বলে আমরা মনে করি।
এমপি লিটনের শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মামলার বাদী ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বলেন, এই মুহুর্তে নির্বাচন নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা আমাদের ভাইয়ের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, তা দেখতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এমপি লিটনের মামলার বাদী ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী, চাচাত ভাই তৌফিকুর রহমান আইনী মুকুট, ফুফাতো ভাই আনিসুর রহমান, ভাগ্নি মেহের নিগার মমি, চাচাতো বোন শিবলী আকতার।
২৫ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস