সুন্দরগঞ্জে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ
মোঃ মামুনুর রশিদ মন্ডল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: সুন্দরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এবার আওয়ামী লীগের লড়াই। এখানে আ’লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দলের ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী। তাদের একজন পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি এটিএম মাসুদুল ইসলাম চঞ্চলের প্রতি রয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের আর্শীবাদ। গত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এমপি লিটন হেলিকপ্টারযোগে সুন্দরগঞ্জে এলে তাঁকে প্রথমে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এ বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী চঞ্চল। এমপি লিটনের সমর্থক দলের নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই প্রকাশ্যে মাঠে কাজ করছেন।
শিশু শাহাদত হোসেন সৌরভ হত্যা প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বর্তমান পৌর মেয়র এবং এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন এম পি’র রোষানলে পড়েন। তাই এ নির্বাচন প্রতিশোধ নিতে এমপি মামুনের বিরুদ্ধে চঞ্চলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামান বলে লিটন বিরোধী আ’লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
এ নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী আজাদুল করিম প্রামানিক নিপু। ঘরের শত্র“ বিভাষনের কারণে এখানে বিএনপি’র সাংগঠনিক ভিত তেমন না থাকলেও ওই দলের মেয়র প্রার্থী এবার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এমন অভিযোগ করেছেন লিটন বিরোধী আ’লীগ নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, বিএনপি প্রার্থীর সমর্থনে এবার জামায়াত কোনো প্রার্থী দেয়নি এখানে।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমপি লিটন বিরোধী আন্দোলনের নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আওয়ামী লীগ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধারাও মাঠে নেমেছেন। জেলা নেতৃবৃন্দছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বিভিন্ন গোষ্ঠী কাজ করছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রিপন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় এসে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাগে আনার চেষ্টা করেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিদ্রোহীদের সরে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা চালান। কিন্তু ব্যর্থ হন।
অভিজ্ঞ মহলের অভিমত নিজেদের কাঁদা ছোড়াছুড়ির সুযোগ বিএনপি প্রার্থী মেয়র পদটি ছিনিয়ে নিতে পারে। এ আসনে অপর দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দেবাশীষ সাহাও সংগঠনের উপজেলা সদস্য শাহীন আহমেদ সবুজ। এছাড়া, এ আসনে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান সরকার, জেপির আলহাজ্ব মশিউর রহমান এবং জাসদের শাহাদত হোসেন সবুজ। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৫০৪ জন। তারমধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ১৯৫ এবং মহিলা ৬ হাজার ৩০৯ জন। ভোট গ্রহণের জন্য কেন্দ্র স্থাপন করা হবে ৯টি এবং বুথ ৪০টি।
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস