বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩, ০২:২৮:৩৫

নীতিমালা উপেক্ষা করে সুন্দরগঞ্জে ইটভাটা

নীতিমালা উপেক্ষা করে সুন্দরগঞ্জে ইটভাটা

রানা আহাম্মেদ, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ইটভাটা স্থাপনসহ ইট প্রস্তুতিতে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা উপেক্ষা করে চলছে তাদের কার্যক্রম। জানা যায়, গেল বছরের নভেম্বর মাসে ভাটা মালিকরা ইট প্রস্তুত করার জন্য কার্যক্রম হাতে নেন। সংশ্লিষ্ট নীতিমালা উপেক্ষা করে ভাটাগুলো স্থাপন, ইট প্রস্তুত, পোড়ানো ও পরিবহনের ফলে নানাভাবে প্রভাব পড়ে কৃষি, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রাকৃতিক পরিবেশে। 

চলতি শুস্ক মৌসূমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৬টি ভাটায় ইট প্রস্তুতির কার্যক্রম গ্রহণ করেন মালিকরা। এর প্রথমে তারা গঠন করেন ভাটা মালিক সমিতি নামে একটি সংগঠন। এরপর কৃষি চাষযোগ্য জমির টপ সয়েল বা জমির ওপরের উর্বর অংশের মাটি সংগ্রহ পূর্বক পরিবহনের ক্ষেত্রে কৃষি চাষাবদসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি করেন মালিক পক্ষ। 

প্রত্যেকটি ইটভাটা স্থাপন হয়েছে দো-ফসলা থেকে তে-ফসলা জমিতে। চারপাশে ফসল উৎপাদনের মতো কৃষি চাষযোগ্য জমি, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোনটি প্রধান প্রধান সড়কের পাশে। ইট প্রস্তুতির জন্য এঁটেল মাটির প্রয়োজন হলেও খরচ বাঁচাতে মালিকরা স্থানীয় চাষযোগ্য জমির টপ সয়েল দিয়ে ইট প্রস্তুত করছেন। 

ফলে নিম্নমানের এসব ইটে স্থাপনা নির্মাণে ভবিষ্যতে ঝুঁকি বহনের শঙ্কা রয়েছে বলে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। অধিকাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সংগঠন ও সাংবাদিকদেরসহ বিভিন্ন স্তরকে ম্যানেজ করতে মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভাটা মালিকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভাটা মালিক জানান। 

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হলে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে ৪টি আর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে ২টির। সাধারণ সম্পাদক ও এমএসবি'র মালিক আব্দুল মালেক জানান, তিনি ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিয়েছি, মালিকরা কেউ ভাল নয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে