এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহিমাগঞ্জ সুগারমিল-স্টেশন সড়কে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। মহিমাগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন রেলপথ থেকে পাথর নিয়ে এসে ঢিল ছোঁড়ায় উভয় গ্রামের ১০-১২ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টাকালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার উপজেলার মহিমাগঞ্জ টাউন ক্লাব মাঠে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একই ইউনিয়নের গোপালপুর ও জিরাই গ্রামের কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য বিরোধ মিমাংসার জন্য সেখানে এগিয়ে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এসময় উভয়গ্রামের লোকজনদের মাঝে সংঘর্ষের ঘোষণা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে জিরাই ও গোপালপুর গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ লাঠি ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষকালে রেলপথের পাথর ও ইটের টুকরা দিয়ে উভয় দিক থেকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ১০-১২ জন মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন। আহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো, উভয়পক্ষের আবুল কালাম (৩৫), ফেরদৌস (২০), জোহা (৫৫) ও রানা (৩২) এবং জিরাই গ্রামের সজিব (২০), মিঠু (৩০), ইসরাইল (৩৫) ও হানিফ (২০)।
খবর পেয়ে দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া, গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা চাউল কল শিল্পপতি আলহাজ্ব নাজির হোসেন প্রধান, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, সাবেক চেয়ারম্যান রুবেল আমিন শিমুল, মহিমাগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমানরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় গ্রামের লোকজনের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বিষয়টি পুরোপুরিভাবে নিষ্পতির প্রক্রিয়া চলছে।