মোঃ মামুনুর রশিদ মন্ডল , গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় বিসিআইসির সারের বাফার স্টকে প্রয়োজনীয় গোডাউনের অভাবে খোলা আকাশের নিচে ইউরিয়া সার মজুদ করে রাখা হয়েছে। ফলে ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারের গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে।
জানা গেছে, চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধায় সারের সরবরাহ আগের চাইতে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেলেও সেই অনুপাতে বাফার স্টকে সার সংরক্ষণের জন্য নতুন কোন গোডাউন নির্মাণ করা হয়নি। ফলে গুদামে জায়গা না থাকায় গুদামের সামনেই অতিরিক্ত সার খোলা আকাশের নিচে মজুদ করে রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২০১৩-২০১৪ বছরের অতিরিক্ত প্রায় ১ হাজার মে.টন সার এভাবে সংরক্ষণের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জমাট বেধে গেছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সার সংরক্ষণের জন্য নতুন গোডাউন নির্মাণ বা ভাড়া নেয়ার কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পুরাতন সার ডিলারদের সরবরাহ করায় এইসব সার নিয়ে ডিলার এবং কৃষকরাও নানা বিপাকে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, বিসিআইসির সারের বাফার স্টকের গোডাউনে ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার মে.টন। বর্তমানে জেলায় প্রতিমাসে সারের চাহিদা ৭ থেকে ১৩ হাজার মে.টন। ফলে সংগত কারণেই অধিক পরিমাণ সার গোডাউনের বাইরেই মজুদ করে রাখা হচ্ছে।
বাফার গোডাউন ইন চার্জ হায়দার আলী বলেন, জেলার মোট চাহিদার শতকরা ৪০শতাংশ গাইবান্ধার বাফার গোডাউন থেকে উত্তোলন করেন এবং বাকী ৬০ শতাংশ যমুনা সার কারখানা থেকে সরাসরি উত্তোলন করে থাকেন ডিলাররা। কিন্তু চলতি জানুয়ারি মাসে যমুনা সার কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ থাকায় মোট চাহিদার পুরোটাই বাফার গোডাউন থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাফারের এই গোডাউনটি যখন করা হয়েছিল সে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী করা হয়েছিল। বর্তমানে সারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী সার সংরক্ষণ করা জন্য এখন এই গোডাউন পর্যাপ্ত নয়। সদ্য ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে সারাদেশে ১৩টি বাফার গোডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে গাইবান্ধায় বরাদ্দ পায়নি। গত ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই গোডাউনে নতুন পুরাতনসহ ৮ হাজার ৬৬.৬৫ মে.টন ইউরিয়া সার গোডাউনের ভিতরে ও বাহিরে রাখা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস