গাইবান্ধা প্রতিনিধি : সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীরা জনগণের ভোট কেটে নিয়েছেন। ইউপি নির্বাচনে যেন তা না হয়। পৌর নির্বাচনের ভোট নিয়ে যে দুর্নাম হয়েছে ইউপি নির্বাচনে একই অবস্থা হলে দুর্নাম চিরস্থায়ী হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ইউপি নির্বাচনে ভোট কেটে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ অবস্থায় সব ভোট কেটে নিয়ে যাবেন না, আমাদের জন্যও কিছু রাখবেন।
গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ইসলামিয়া উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার বিকেলে তিনি এসব কথা বলেন।
গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুর রশিদ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের, মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাপার সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক রাগিব হাসান চৌধুরী হাবুল, সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান চৌধুরী, সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, শাহজাহান খান আবু, আনোয়ারুল ইসলাম লেবু, মাহমুদুর রহমান মুকুল, রেজাউন্নবী রাজু প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম জনসংখ্যার এ দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছি। সেই রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ে আদালতে রিট হয়েছে। আশা করি, রিট বাতিল হবে।
আগামীতে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলে উপজেলাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে এনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এরশাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এখন ক্ষমতার অধিকারী, যা অগণতান্ত্রিক।
পরে গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে আব্দুর রশিদ সরকার ও রাগীব হাসান চৌধুরী হাবুলকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা জাতীয় পার্টির নতুন কমিটি ঘোষণা করেন এরশাদ।
২ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম