যশোর : প্রেমের টানে কাঁটাতার পাড়ি দেয়া সেই তিন প্রেমিকা এখন ভারতে। গত বছর সীমান্ত পেরিয়ে তারা বাংলাদেশ এসেছিলেন। বাংলাদেশে এসে প্রেমিকদের সঙ্গে তাদের দেখাও হয়।
কিন্তু সেদিনই তাদের ধরা পড়তে হয় খুলনা পুলিশের হাতে। অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করায় এক বছরেরও বেশি সময় থাকতে হয় গাজীপুর কিশোরী সংশোধনী কেন্দ্রে। দীর্ঘ এক বছর অবস্থানের পর আজ সোমবার নিজ দেশে ফেরেন এই তিন কিশোরী।
আজ বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ‘ট্রাভেল পারমিটের’ মাধ্যমে তাদের ভারতের পেট্রাপোল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
তিন কিশোরী হলেন ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া থানার সালতিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার শিবানী শিকদার (১৮), একই এলাকার হেমা বিশ্বাস (১৫) এবং ফুলতলা বিশ্বাসপাড়ার মিতালী অধিকারী (১৭)।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইকবাল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট প্রেমের টানে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসে এই তিন কিশোরী। পরে তারা খুলনা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
তিনি জানান, সেখান থেকে শিবানীর প্রেমিক মিঠুন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে আদালতে সোপার্দ করে। আদালত দুই কিশোরকে যশোর কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে এবং কিশোরী তিনজনকে গাজীপুরের কিশোরী সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। দীর্ঘ এক বছর পর তিন কিশোরীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন জানান, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ফাস্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্ত তাদের নিজ জিম্মায় নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে ভারতের পেট্রাপোল পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন। সেখান থেকে ‘সংলাপ’ নামে একটি এনজিও অভিভাবকদের হাতে তাদের তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদ হাসান (ডিএসবি), ইমিগ্রেশন ওসি ইকবাল হাসান ও মোমিনুর রহমান, ঢাকা কিশোরী সংশোধনী কেন্দ্রের সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।
৫ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম