যশোর: যশোরের মণিরামপুরে ৮ নম্বর হরিহরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও খাটুরা হাইস্কুলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক একেএম বজলুর রশিদকে আইএস পরিচয়ে লিখিত হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ মার্চ বিকালে ঝিকরগাছায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা থেকে একই খামে লাল ফিতা জড়ানো দুটি চিঠি হাতে পান তারা। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ মণিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আবুল কালাম আজাদ। পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি জিডির বিষয়টি গোপন রাখেন। কিন্তু এত দিনেও পুলিশ এ ঘটনার কোনও ক্লু বের করতে না পারায় বৃহস্পতিবার আবুল কালাম বিষয়টি প্রকাশ করেন।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল নাথ জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিটি গত ২৪ মার্চ উছামা, পিতা আকবার নামে যশোরের নওয়াপাড়া বাজারের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস শাখা থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
ডাকযোগে পাওয়া চিঠি ও জিডি সূত্রে জানা যায়, আইএস এর নামে পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা জেনেছি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও খাটুরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বজলুর রশিদ ২৬ মার্চ উপলক্ষে খাটুরা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। যেই ময়দানে নামাজ হয় সেই ময়দানে নাচগানের ব্যবস্থা করছে। আইএস আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। যদি তারা অনুষ্ঠান করে তাহলে ২৭ মার্চ তাদের দেহ থেকে মাথা আলাদা করা হবে।’
আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান করার জন্য স্থানীয় জামায়াত-বিএনপির লোকজনদের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। তারা আমাকে অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করে। আমি তাদের কথা না শুনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরের দিন এই চিঠি পাই।’
তিনি জানান, যেহেতু অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে, তাই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে অনুষ্ঠান করেন। অনুষ্ঠান পণ্ড হতে পারে ভেবে বিষয়টি কাউকে জানাননি। অনুষ্ঠান শেষ করে পরের দিন থানায় জিডি করেন। পুলিশ তদন্তের কথা বলে তাদের কাছ থেকে চিঠির মূল কপি নিয়ে নেয়। আর বিষয়টি গোপন রাখতে বলে। আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, পুলিশের কথা শুনে তারা চুপ ছিলেন। কিন্তু এত সময় পার হলেও পুলিশ কোনও ক্লু বের করতে না পারায় তারা বিষয়টি প্রকাশ করলেন। তারা আতঙ্কে আছেন।-বাংলা ট্রিবিউন
৩১ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস