যশোর থেকে : প্রেমের ফাঁদে ফেলে আম্বিয়া আক্তার আশা (১৬) নামে এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া মহিলা কলেজের পিয়ন মনিরুল ইসলাম (৩০)। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কলেজ পিয়ন মনিরুল ইসলাম ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নওয়াপাড়া মহিলা কলেজের পিয়ন মনিরুল ইসলাম ২০১০ সালে তার এক চাচাতো বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর চরম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে নিজেই স্বামীকে তালাক দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিয়ন মনিরুল ইসলামের এক প্রতিবেশি জানান, বিয়ের পর চরম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে নিজেই স্বামীকে তালাক দেয়। এরপর মনিরুল তার কলেজে পড়া এক হিন্দু মেয়েকে ইভটিজিং করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এ ঘটনায় কলেজ থেকে মনিরুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিল।
সর্বশেষ আম্বিয়া আক্তারকে ইভটিজিং করার দায়ে তার পিতা হাদিউজ্জামান ফকির গত ১২ এপ্রিল বিচার চেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর সোমবার দিনগত রাত তিনটায় মনিরুল ইসলাম কয়েকজন সহযোগী নিয়ে আম্বিয়া আক্তার আশাকে তার খালু বাড়ি উপজেলার কোটা গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে উধাও হয়।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ পাল জানান, কলেজের সভাপতি বাইরে থাকায় আমরা মনিরুলের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তবে ছাত্রীকে তুলে নেয়ার পর জরুরি সভা করে মনিরুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার থানায় মামলা হয়েছে।
ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা হাদিউজ্জামান ফকির বলেন, 'আমার বাবা একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। আমার ইচ্ছা ছিল মেয়েকে অনেক লেখাপাড়া শেখাবো। আশা করেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার চাকরি হবে। কিন্তু এখন আমার সব আশা শেষ করে দিয়েছে ওই পিয়ন। সময়মতো কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে আমার মেয়ের এত বড় ক্ষতি হতো না।'
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমলে নেয়া হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালে নওয়াপাড়া মহিলা কলেজের ২য় বর্ষের বানিজ্য শাখার এক মেধাবী ছাত্রীকে সম্ভ্রমহানীর চেষ্টার ঘটনায় কলেজটির প্রভাষক জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটে।
২০ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস