যশোর : তারা সবাই দাখিল পরীক্ষার্থী। প্রতিদিনের ন্যায় তারা নৌকায় চড়ে বাঁওড় পার হয়ে যাচ্ছিলেন পরীক্ষায় অংশ নিতে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ২৫ জন দাখিল পরীক্ষার্থীকে বহনকারী নৌকাটি মাঝ বাঁওড়ে ডুবে যায়। এদের মধ্যে ২৩ জস সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ হন মৌসুমি খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী। পরে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মৌসুমি খাতুন পারখাজুরা সিদ্দীকিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে একই গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পারখাজুরা বাঁওড় পার হওয়ার সময় এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় মোট ২৫জন পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, দুর্ঘটনার পর সাঁতার কেটে ২৩ জন পরীক্ষার্থী পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও দাখিল পরীক্ষার্থী মৌসুমি খাতুন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে স্থানীয়রা ৭টি জাল দিয়ে বাঁওড়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। পাশাপাশি মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কর্মীরা নিখোঁজ শিক্ষার্থীর উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ উদ্ধারকাজ চালিয়েও নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে না পেরে খুলনার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে ডাকা হয়। দুপুরে খুলনা থেকে আসা ডুবুরিরা দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টার পর মৌসুমি খাতুনের লাশ উদ্ধার করে।
পারখাজুরা সিদ্দীকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার একেএম সিফাতুল্লাহ জানান, উপজেলার রাজগঞ্জে কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতিদিনের মতো প্রতিষ্ঠানের ২৫ শিক্ষার্থী পারখাজুরা থেকে নৌকাযোগে নলতাঘাটে যাচ্ছিল। এরপর বাঁওড়ের মাঝখানে পৌছুলে হঠাৎ দমকা হাওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায়।