যশোর: ‘বাবার পরে মাও চলে গেল। আমি এখন কার কাছে থাকব, কি নিয়ে বাঁ'চব?’ এ কথা বলেই হা'উমা'উ করে কা'ন্নায় ভে'ঙে পড়ল এসএসসি পরীক্ষার্থী ওবায়েদ আলী হৃদয়। যশোরে শনিবার সকালে ম'র্মা'ন্তিক সড়ক দু'র্ঘ'ট'নায় নিহ'ত হন হৃদয়ের মা তানিয়া খাতুন (৪৩)। এ দু'র্ঘট'নায় তানিয়া ছাড়াও হাসান নামে এক ব্যবসায়ী নিহ'ত এবং আরও তিনজন আহ'ত হন।
শনিবার দুপুরে এসএসসি’র ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে যশোর হাসপাতাল চত্বরে এসে মায়ের জন্য বুকফা'টা আ'হাজা'রিতে ভে'ঙে পড়ে হৃদয়। হৃদয় এবার যশোর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। হৃদয়ের বড় ভাই জোবায়েদ আলী জীবন ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মায়ের মৃত্যুতে মেধাবী দুই ভাইয়ের জীবনই এক অ'নি'শ্চ'য়তার মধ্যে চ'লে গেল।
তানিয়া খাতুন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রামের বাসিন্দা মৃ'ত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী। তিনি যশোরের ব্র্যাকের চুড়ামনকাটি শাখার ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন। এ পরিবারটির হৃদয়বিদারক ইতিবৃ'ত্তি জানালেন ব্র্যাক যশোরের জেলা প্রতিনিধি অমরেশ চন্দ্র দাস।
তিনি জানান, তানিয়ার স্বামী ওয়াজেদ আলীও ব্র্যাকে চাকরি করতেন। স্ট্রো'কে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে তিনি প্যা'রালা'ইজ'ড হয়ে যান। পরে অসু'স্থ অবস্থায় মৃ'ত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃ'ত্যুর পর পরিবারটির অব'স্থা বিবে'চনায় মা'নবিক কারণে তানিয়া খাতুনকে ২০১১ সালে ব্র্যাকে চাকরি দেয়া হয়। চাকরি করে তিনিই তার দুই সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করছিলেন।
বড় ছেলে জোবায়েদ আলী জীবন ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে ওবায়েদ আলী হৃদয় এবার যশোর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শনিবার পরীক্ষা দিয়ে দুপুরে হাসপাতালে এসে মায়ের মৃ'ত্যুর খবর জানতে পারে। এ সময় হাসপাতালে এসে হৃদয় কা'ন্নায় ভে'ঙে পড়ে সে। ‘বাবার পরে মা-ও চ'লে গেল। আমি এখন কার কাছে থাকব, কি নিয়ে বাঁ'চব?’