যশোর থেকে : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তা'ণ্ডবে বুধবার (২০ মে) রাতে যশোরে ৬ জন নিহ'ত হয়েছেন। নিহ'তরা হলেন জেলার চৌগাছা উপজেলার পৌর এলাকার হুদো চৌগাছার ওয়াজেদ হোসেনের স্ত্রী চায়না বেগম (৪৫) ও মেয়ে রাবেয়া খাতুন (১৩), বাঘারপাড়া উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের বুদোপুর গ্রামের ছাত্তার মোল্লার স্ত্রী ডলি খাতুন (৪৫)।
এছাড়াও শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহাজাহানের স্ত্রী ময়না খাতুন (৪০), বাগআচড়া ইউনিয়নের জামতলা গ্রামের আব্দুল গফুর পলাশের ছেলে মুক্তার আলী (৬৫) এবং শার্শা ইউনিয়নের মালোপাড়া গ্রামের সুশীল বিশ্বাসের ছেলে গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মৃত্যু হয়েছে। চৌগাছার একই ঘটনায় ওয়াজেদ হোসেনের ছেলে আলামিন (২২) আহ'ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ এসব হ'তাহ'তের ঘটনা নি'শ্চিত করেছেন। চৌগাছায় নিহ'ত মা-মেয়ে এবং আহ'ত ছেলে ঝড়ের সময় ঘরে ছিলেন। রাত ১০টার দিকে ঘরের পাশের একটি গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে। এ সময় চাপা পড়ে মা ও মেয়ে নিহ'ত হন। আর বাঘারপাড়ার নিহ'ত গৃহবধূ নামাজ পড়ার পর কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন। ঝড়ে একটি আমগাছের ডাল টিনের ঘরের চালার ওপর ভেঙ্গে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃ'ত্যু হয়।
শার্শায় নিহ'তদের মধ্যে মুক্তার আলী ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস নিজেদের ঘরের মধ্যেই গাছ ভেঙে পড়লে তাদের মৃত্যু হয়। আর ময়না খাতুন স্বামীর সাথে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাবার সময় গাছ পড়ে মা'রা যান। তবে স্বামী বেঁচে যান। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তা'ণ্ডবে যশোরের বিভিন্ন এলাকা ল'ণ্ডভ'ণ্ড হয়ে গেছে। পড়ে গেছে অসংখ্য কাঁচাঘর। উড়ে গেছে আধাপাকা বাড়ির টিনের চাল।
এছাড়া গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙ্গে পড়ায় বিভিন্ন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। যশোর-বেনাপোল সড়কে শতবর্ষী গাছসহ অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ায় বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলা শহরের সাথে বেনাপোলের সড়ক যোগাযোগ বি'চ্ছিন্ন রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে ফল ফসলেরও ব্যা'পক ক্ষ'তি হয়েছে। তবে সে ক্ষ'তির পরিমাণ এখনও নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ জানিয়েছেন, আম্ফানের কারণে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী হবে।