যশোর: 'করোনা শুরুর পর থেকে কয়েক জায়গাততে কিছু সহযোগিতা পাইছি। এর আগে অন্যবারের ঈদেও সেমোই, চিনি, পাইছি কিন্তু মুরগি কেউ দিইনি। এইবারই প্রথম কেউ আমাগের মুরগি দিলো। লোকের বাড়ি কাজ করতাম। করোনার কারনে এখন কাজ বন্ধ। স্বামী রাজমিস্ত্রীর যোগালের কাজ করে। তারও কাজ বন্ধ। মুরগি পাইয়ে খুব ভালো হইয়েছে। ঈদির দিন ছেলে-পিলের মুখি গোসত দিতি পারবানে।' করোনার কারণে কর্মহীন দুই সন্তানের জননী বুলবুলি আজ শনিবার দুপুরে ঈদ উপহার হিসেবে পোলাওয়ের চাল, সেমাই, চিনি, দুধ, মসলার সাথে মুরগী পেয়ে খুশিতে ঝলমল চোখে কথাগুলো বললেন।
ঈদে খাদ্যসামগ্রীর সাথে এমন মুরগী পেয়ে খুশি তিন সন্তানের জনক আলতাফ হোসেন। প্লাস্টিক ফেরি করে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন তিনি। করোনায় তার সেই ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ। তার সাথে তার মা বাবাও থাকেন। তিনি বললেন, সবাই শুধু সেমোই, চিনি, চাইল, তেল, দেয়। কিন্তু ঈদির দিন ইট্টু গোসত হলি বাড়ির ছেলে পিলে কিযে খুশি হয়। ইনারা সেই গোশতর ব্যবস্থাও কইরে দিল। আল্লাহ ইনাগের ভালো করুক।
শুধু বুলবুলি বা আলতাফ নয়। এমন ঈদ উপহার পেয়ে তাদের মতো খুশি যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার আরও ৫০০ কর্মহীন মানুষ। আর অসহায় কর্মহীনদের জন্য এসব খাদ্যসামগ্রীর আয়োজন করেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল। করোনা শুরুর পর থেকে তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন। এ সময় এলাকার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জুয়েল বলেন, মহামা'রী করোনা শুরুর পর মানবিক দু'র্দশা লা'ঘবে নিজ উদ্যোগে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী সাবান, স্যানিটাইজার সহায়তার চেষ্টা করেছি। ব্যাক্তি উদ্যোগে সীমাবন্ধতার কারনে বেশি দূর এগোতে পারছিলাম না। এ সময় বন্ধু বান্ধব, সহৃদ, রাজনৈতিক নেতা, ধণ্যাঢ্য ব্যবসায়ী সবাই কমবেশি এগিয়ে আসেন, সে কারণে গত দুইমাসে প্রায় ৫ হাজার মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছৈ দিতে সক্ষম হয়েছি।