নিউজ ডেস্ক : মহামা'রি করোনার অজুহাতে ভারত বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৩ মাসের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ভারতে ঢুকতে দিচ্ছিল না। তবে কিন্তু গত মাস হতে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য বাংলাদেশে ঢুকেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতে রপ্তানি করা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ থেকে কোন পণ্য ভারতে ঢু'কতে না দিলেও ভারত বাংলাদেশে রপ্তানি অব্যাহত রেখেছিল। এর প্রেক্ষিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ করে ভারতের এমন সি'দ্ধান্তের প্র'তিবাদ জানায় বাংলাদেশের সিএন্ডএফ এজেন্টরা। সে সি'দ্ধান্ত মোতাবেক বিগত চার দিন সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল এই বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম।
ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিন বেড়েই চলছিল। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই এবার পিছু হটেছে ভারত। অবশেষে রোববার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী পাঁচটি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করেছে। জানা গেছে সোমবার হতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবারো পুরোদমে আমদানি রপ্তানি পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হবে।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতির কারণে মার্চের ২২ তারিখ থেকে এই বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল। জুন মাসের ৭ তারিখ হতে ভারত থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকলেও করোনার অজুহাতে ভারতে কোন রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না। এতে এদেশের রপ্তানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েন।
কিন্তু শেষমেশ বাংলাদেশের সিএন্ডএফ এজেন্টদের ক'ঠোর অবস্থানের কারণে ভারত তার অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ অংশীদার হল ভারত। দেশ দুটির বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় দশ বিলিয়ন ডলার যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশাল বাণিজ্য ঘা'টতি রয়েছে। তবে সম্প্রতি ভারতে ক্রমেই বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ভারতে এখন বাংলাদেশের রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সূত্র: ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম