যশোর: চিকিৎসক বা নার্স কেউই ছিলেন না। এক আয়ার সহায়তায় প্রসব করাতে গিয়ে অনাগত সন্তান হয়ে যায় দ্বিখণ্ডিত। দেহ থেকে ছিন্ন হয়ে মায়ের গর্ভে রয়ে যায় তার মাথা।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। ঘটনার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হলে প্রসূতি ওয়ার্ডের দায়িত্বরত কর্মীরা সবাই সরে পড়েন। ঘটনার শিকার আন্না খাতুন (২৬) যশোরের শার্শা উপজেলার গাজীপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের স্ত্রী।
আইয়ুব হোসেনের অভিযোগ, তার স্ত্রী পাঁচমাসের গর্ভবতী। সন্তানের নড়াচড়া টের না পাওয়ায় শুক্রবার রাতে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসক আল্ট্রাসনো পরীক্ষা করে গর্ভের সন্তান মারা গেছে বলে জানান।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবিকা গর্ভপাতের ওষুধ দেন। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সন্তানের পা বেরিয়ে আসে। এ সময় আন্নার স্বজনরা চিকিৎসক, নার্সদের ডেকেও পাননি। পরে ওয়ার্ডের আয়া মোমেনা সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সন্তানের দেহ বেরিয়ে এলেও মাথা ছিন্ন হয়ে থেকে যায় প্রসূতির গর্ভে। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সেবিকা, আয়া সবাই ওয়ার্ড ছেড়ে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ঘটনার সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তানজিলা ইয়াসমিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ মোবাইল ফোনে জানান, রোগীর গর্ভে ২০ সপ্তাহের মৃত বাচ্চা ছিলো। অ্যাবরেশনের জন্য মেডিসিন দেয়া হয়। রাতে বাচ্চার পা বেরিয়ে আসতে দেখে আয়া কাউকে না জানিয়ে নিজে ডেলিভারি করার চেষ্টা করে। তখন বাচ্চার শরীর বেরিয়ে এলেও মাথা মায়ের গর্ভে থেকে যায়। শনিবার রোগীর গর্ভ থেকে ছিন্ন মাথা অপসারণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তবে ঘটনার সময় ওয়ার্ডে চিকিৎসক এবং নার্স ছিল বলে দাবি করেছেন ডা. আরিফ।