যশোর থেকে : বাবার নাম আতিয়ার বিশ্বাস ওরফে গাঁজা আতি। যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বাগদহ গ্রামে চিহ্নিত মাদক কারবারি ও একাধিক মাদক মামলার আসামি। গাঁজা আতির ছেলে আল মামুন বিশ্বাস ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী, তবে পেশায় সেও পরিবারের অন্যদের মতো মাদক ব্যবসায় জড়িত।
রোববার ১৩ কেজি গাঁজাসহ আল মামুন বিশ্বাসও আটক হয়েছে পুলিশের হাতে। রোববার (২১ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বাগদহ গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে তাকে আটক করে অভয়নগর থানা পুলিশ। মামুন চলিশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিল।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোর ৪টার দিকে বাগদহ পশ্চিমপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের একপর্যায়ে মশিয়ার রহমানের বাড়ির সামনে থেকে দুই বান্ডিল পলিথিনে মোড়ানো গাঁজাসহ মামুনকে আটক করা হয়। এ সময় তার সহযোগী বাদশা দুই বান্ডিল গাঁজা ফেলে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত চার বান্ডিল গাঁজাসহ মামুনকে থানায় আনা হয়।
উদ্ধারকৃত ১৩ কেজি ২শ' গ্রাম গাঁজার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। এ ঘটনায় মামুন ও তার সহযোগীর নামে মামলা হয়েছে। চলিশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আল মামুন বিশ্বাস চলিশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক কমিটির সদস্য ছিল। বর্তমান কমিটি না থাকায় সে বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছে।
বাগদহ পশ্চিমপাড়াবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আতিয়ার বিশ্বাস, তার ছেলে ছাত্রদল নেতা মামুন বিশ্বাস, একই গ্রামের হামিদ বিশ্বাস, উজ্জ্বল হোসেন, বাদশা মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গাঁজা ও ইয়াবা পাইকারী সরবরাহ করে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বার বার আটক হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় শুরু করে মাদক ব্যবসা।