দুজনের ফাঁসি কার্যকর
যশোর : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দরের (জাসদ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ দলের ৫ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ী তিন আসামির মধ্যে দুজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১ মিনিটে হাবিব ও আনোয়ারের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আরেক আসামি ঝন্টুর ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
তিনজনের লাশ শুক্রবার সকাল সাতটায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হস্তান্তর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনের ফাঁসি কার্যকরের জন্য বুধবার বিকেলে ফাঁসির মঞ্চে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (কারা) টিপু সুলতান ও কারগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফাঁসির আসামি রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর পরিবারের ২জন সদস্য ও আনোয়ার হোসেনের পরিবারের ৬ সদস্য শেষ সাক্ষাৎ করেন।
রাতে কারাগারে প্রবেশ করেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন শাহাদাত্ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল হাসান।
রাতে তিন আসামিকে গোসল করানোর পর তাদের তওবা পড়ান কারা মসজিদের ইমাম রমজান আলী। রাতে স্বজনদের সাথে শেষ সাক্ষাতের পর তাদের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর রায় পড়ে শোনানো হয়। নিম্ন আদালতের রায়, আপিল এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি তাদের জানানো হয়। এরপর তাদেরকে জমটুপি পরিয়ে ফাঁসির মঞ্চে নেয়া হয় তাদের।
তাদের ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ তানভীর হাসান রাজু ও হযরত আলী। ফাঁসি কার্যকরের জন্য দু'দিন আগেই তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যশোরে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতান, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন শাহাদাৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল হাসান প্রমুখ।
এ মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন চরমপন্থি দলের সক্রিয় সদস্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পচাভিটা গ্রামের মান্নান মোল্লা, মিরপুর উপজেলার কুর্শা মেহেরনগরের রমজান আলীর ছেলে জাহান আলী, বালিয়াশিষা গ্রামের হারেজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন, মেহেরপুরের গাংনি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের নায়েব মণ্ডলের ছেলে রওশন ও কিশোরীনগর গ্রামের মোজাহার উদ্দিনের ছেলে বাকের উদ্দিন।
৭ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম
�