কঠোর লকডাউনে আয় একেবারে বন্ধ, কো কাজ নেই। ঘরে ২২ দিন বয়সী শিশুসন্তান। কান্নায় ভেঙে পড়ছে খাবার না পেয়ে। বাবা সিএনজিচালক। তবে চলমান কঠোর লকডাউনে তার আয় বন্ধ। তাই সন্তানের দুধ কিনতে পারছেন না শাহ আলম। সন্তানের কান্না সহ্য করতে না পেরে লোকালয়ে নেমে পড়েছিলেন তিনি। যাকে পাচ্ছেন তার কাছেই অশ্রুচোখে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন তিনি।
এখন ভালো আছে যশোরের শার্শা উপজেলা নিজামপুর ইউনিয়নের ছোট নিজামপুর গ্রামের সেই অসহায় বাবা সিএনজি চালক শাহ আলম। সিএনজি চালক শাহ আলম কঠোর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় গাড়ি চালাতে না পেরে ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে পরিবারের খরচ চালাতে ব্যর্থ হয়ে পড়েন। এমনকি মাত্র ২২ দিন বয়সের সন্তানের দুধ কিনতেও বিপাকে পড়েন চালক শাহ আলম। এরপর নিজামপুর বাজারের কান্নারত অবস্থায় (টাকার জন্য) ঘুরে বেড়ান প্রিয়জনদের দ্বারে দ্বারে পাননি কোনো সহযোগিতা।
সংবাদটি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায় সারা দেশে। বিভিন্ন মাধ্যমে হাত বাড়ায় শাহ আলমকে সহযোগিতা করার জন্য। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন। কেউ আবার তার সহযোগিতার জন্য বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন।