২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার জো'ড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফি'ঙ্গে বেগমকে রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে ধ'র্ষ'ণের পর হ'ত্যা করা হয়। এ ঘ'টনায় দা'য়ের করা মামলায় আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালুর (৫০) ফাঁ'সি কার্যকর করা হয় সোমবার রাতে।
ফাঁ'সি কা'র্যকরের পর একসঙ্গে জা'না'জা শেষে মিন্টু ও আজিজকে নিজ গ্রামে পাশাপাশি দা'ফ'ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জা'না'জার পর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষ্মীপুরে নিজ গ্রামের গো'র'স্তা'নে তাদের দা'ফ'ন করা হয়। তাদের জা'না'জায় এলাকার অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। দা'ফ'নের আগ মুহূর্তে প্র'ব'ল বৃষ্টি দা'ফ'নকাজে বি'ঘ্ন সৃষ্টি করে।
সকালে আশপাশের গ্রামের অনেক নারী-পুরুষ মিন্টু ও আজিজের বাড়িতে আসেন। কেউ কেউ দেখতে যান তাদের ক'ব'র।
এর আগে রাত আড়াইটার দিকে তারা আলমডাঙ্গার নিজগ্রাম রায়লক্ষ্মীপুর পৌঁছান। আজিজুল ও মিন্টুর দা'ফ'নের জন্য গ্রামের মসজিদে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিটেই আগেই হয়ে যায় ফজরের জামাত। এর পর মসজিদের সামনের ফাঁ'কা চত্বরে আজিজ ও মিন্টুর লা''শ সামনে রেখে একই সঙ্গে জা'না'জা পড়ানো হয়।
গ্রামবাসী জানান, আজিজুলের মামাতো ভাই ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জা'না'জায় ইমামতি করেন। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের গো'র'স্তা'নে পাশাপাশি ক'ব'রে তাদের দা'ফ'ন করা হয়।
স্থানীয় খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহি'নীর উ'পস্থি'তিতে লা'শ ক'বরে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এ কারণে দা'ফ'নকাজে কিছুটা বিল'ম্ব ও বি'ঘ্ন ঘটে।
যশোর কেন্দ্রীয় কা'রা'গারের জেলার তুহিন কান্তি খান বলেন, চুয়াডাঙ্গার আলোচিত ধ'র্ষ'ণ ও হ'ত্যার ঘটনায় দ'ণ্ড'প্রাপ্ত দুজনের ফাঁ''সি কার্যকরের জন্য কয়েক দিন আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিই। শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কা'রাগা'রে গিয়ে শেষবারের মতো স্বজনরা তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের দুজনের শেষ ইচ্ছা অনুযারী দুই পরিবারের অর্ধশতাধিক মানুষের সঙ্গে দেখা করাই। এ ছাড়া তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী শনিবার গরুর কলিজা ও ইলিশ মাছ খাওয়ানো হয়। রোববার গ্রিল ও নান রুটি আর সোমবার মুরগির মাংস, দই আর মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
জেলার তুহিন কান্তি খান বলেন, আজ রাত ১০টা ৪৫ মিনিট ও ১০ টাকা ৫০ মিনিটে আজিজ ও কালুর মৃ'ত্যুদ'ণ্ড কার্যকর হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সা'র্জ'ন, চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
কারাসূত্রে জানা গেছে, দুই খু'নি'র ফাঁ'সি কার্যকরে রাতে একে একে কা'রাগারে প্রবেশ করেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার, সিভিল সা'র্জ'ন দিলীপ শেখ আবু শাহীন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান। রাতে ফাঁ'সির দ'ণ্ডপ্রা'প্ত ওই দুই আ'সা'মিকে গো'সল করানোর পর তাদের ত'ওবা পড়ান কারা মসজিদের ইমাম। রাতেই স্বজনদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের পর তাদের খাবার খাওয়ানো হয়।
এর পর তাদের রায় পড়ে শোনানো হয়। নিম্ন আদালতের রায়, আপিল এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি তাদের জানানো হয়। পরে তাদের জ'মটু'পি পরিয়ে ফাঁ'সির মঞ্চে নেওয়া হয়। সোমবার রাত পৌনে ১১টায় প্রথমে মিন্টু ওরফে কালু এবং এর পাঁচ মিনিট পর একই গ্রামের আজিজ ওরফে আজিজুলের ফাঁ'সি কা'র্যকর করা হয়।