বিল্লাল হোসেন, মণিরামপুর (যশোর) থেকে : তিন প্রেমিকা জোটবদ্ধ হয়ে অভিযোগ দেয়ায় বেকায়দায় পড়েছে বেরসিক প্রেমিক। গণপিটুনীর শিকারে নাজেহাল ওই প্রেমিক। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় স্থানীয় যুবকরা তাকে পিটুনি দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার বিকেলে শহরের ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের সামনে। পরে এক অধ্যক্ষের সহযোগিতায় প্রাণে বাঁচেন তিনি। ওই প্রেমিককে উদ্ধার করে পুলিশ।
যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ জানায়, জেলার মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের তবিবর রহমান তিন কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করতেন। বিষয়টি পরে জানাজানি হলে প্রেমিকারা জোট বেঁধে স্থানীয় কয়েক যুবককে জানান।
আজ বিকেলে প্রেমিকাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তবিবর দেখা করতে যশোর শহরে এলে সেখানে উপস্থিত যুবকরা তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে তবিবর ডা. আব্দুর রাজ্জাক কলেজের অধ্যক্ষের কাছে সহযোগিতা চান। এ অবস্থায় অধ্যক্ষ পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তবিবরের। পরে তিনি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রেমিকা নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। পরে ওই তরুণীর এক খালাতো বোনের সঙ্গে পরিচয় হয় তবিবরের। তাকেও তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন।
একই সূত্রে ওই দুই তরুণীর আরেক বান্ধবীর সঙ্গে তবিবরের পরিচয় হয়। এভাবে তিনজনের সঙ্গেই প্রেম করেন তবিবর। একপর্যায়ে প্রেমিকাদের মধ্যে জানাজানি হলে কৌশলের আশ্রয় নেন তারা। আজ রোববার ওই তিন তরুণী পরিকল্পিতভাবে তবিবরকে শহরে ডেকে আনেন।
তবিবরের দাবি, আমি একজনের সঙ্গে প্রেম করেছি। আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা তিনজনে একত্রিত হয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছে।
তরুণীদের দুজন পড়াশোনা করেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজে আর অন্যজন ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে লেখাপড়া করেন।
কোতয়ালি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই বিপ্লব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, তিন তরুণীর অভিযোগ করার পর তবিবরকে থানায় আনা হয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/আরিফুর/রাজু