বুধবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৪, ১২:০৭:০৯

পাড়ায় পাড়ায় লাঠি হাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াল যুবদল-ছাত্রদল

পাড়ায় পাড়ায় লাঠি হাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াল যুবদল-ছাত্রদল

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : যশোরের বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও চৌগাছা উপজেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে।

খবর পেয়ে সোমবার (৬ আগস্ট) রাত থেকে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। পাড়ায় পাড়ায় লাঠি হাতে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ান। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে গত দুদিন ধরে মাঠে দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোরের বেশিরভাগ থানায় এখন পুলিশের কোনো সদস্য নেই। সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।

যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন। অসংখ্য পরিবারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে। আমরা অসংখ্য মানুষের ফোন পাচ্ছি। তাদের আর্তনাদ শুনছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ রয়েছেন। তাদের ইউনিটগুলোর মাধ্যমে অনেক জায়গায় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছেন।’

 শহরের বেজপাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোমবার রাতে তারা বেজপাড়া পূজারমাঠসহ আশপাশের সব মন্দিরে পাহারা দিয়েছেন। কেন না সুযোগ সন্ধানীরা লুটপাট ও ছিনতাই কাজে নেমেছে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নির্দেশ দিয়েছেন।

বেজপাড়া বনানী রোডের বাসিন্দা শংকর মল্লিক বলেন, ‘কিছু ছিনতাইকারী আমাদের এলাকায় এসে বাড়িতে বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেছিল। জানতে পেরে আমারা প্রতিহত করেছি। রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। আমাদের সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা।’

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা বলেন, ‘আমাদের নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্দেশে যশোর সদরসহ সব উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতামকর্মীরা রাত জেগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছেন তারা। যাতে সন্ত্রাসীরা সুযোগ নিতে না পারে।’

এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘শহরের জাবির হোটেলে আগুনে ২৪ জনের মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। সুযোগ সন্ধানীরা বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনো করি না। সবখানে শান্তি বজায় রাখতে বিএনপির প্রতিটি কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করছেন। যশোরের সব উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাত জেগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির পাহারা দিচ্ছেন। পাশে থাকছেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে