যশোর : নিজের সন্তানদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলনে নালিশ করলেন তাদের মা। প্রতিকার পেতে যশোরের অভয়নগরের ছালেহা খাতুন নামে এক বৃদ্ধা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সোমবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শুধুমাত্র সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য প্রথম তিন সন্তান তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
ছালেহা খাতুন বলেন, বড় ছেলে আবদুস সালাম ফকির, মেজো ছেলে জাহান আলী ফকির, সেজো ছেলে রকিবুল হক, ছোট ছেলে রিয়াজ ও মেয়ে সেলিনা বেগম এই পাঁচ সন্তান। ২০১২ সালের প্রথমদিকে স্বামী ছায়েব আলী ফকির মারা যান।
তিনি বলেন, তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তির সমান বণ্টন করা হয়। আমার অংশে প্রাপ্ত ও আমার বাবার বাড়ির সম্পত্তি (প্রায় ৪৮ বিঘা) প্রথম তিন ছেলে আবদুস সালাম, জাহান আলী ও রকিবুল ইসলাম লিখে দিতে বলে। আমি দিতে রাজি না হলে তিন ছেলে ও তাদের স্ত্রীরা আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
ছালেহা খাতুন বলেন, এ অবস্থায় ২০১৩ সালে আমার সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে হজে যাওয়ার নিয়ত করি। হজে যাওয়ার মাসখানেক আগে সেজো ছেলে রকিবুল আমার বুকে লাথি মেরে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় ১০/১২ দিন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলাম। পরে সুস্থ হয়ে হজে যাই। হজ শেষে দেশে ফিরলে তিন ছেলে আমার সঙ্গে মিশে যায়। তারা আবারো সম্পত্তির লিখে নেয়ার চেষ্টা করে। লিখে না দেয়ায় তিন ছেলে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার ছোট ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ও মেয়ে সেলিনা বেগমের আশ্রয়ে আছি।
সংবাদ সম্মেলনে ছালেহা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছোট ছেলে রিয়াজ উদ্দিন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়েছি। সুষ্ঠু সমাধান পেতে আইনশৃংখলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছি। এতেও কোনো সুরাহা পায়নি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেজো ছেলে রকিবুল ইসলাম। আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
১১ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম