এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া অজ্ঞাত কারণে স্থগিত রয়েছে। যার ফলে শিক্ষক-কর্মচারীর অভাবে বিদ্যালয় গুলির শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার ক্ষতি হচ্ছে।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার অধিকাংশ নিন্ম- মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় অসংখ্য শিক্ষক-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। যার কারণে ঐ সকল বিদ্যালয় গুলির শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন সময় নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ হলেও অজ্ঞাত কারণে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারী তারিখে ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, পাথরা পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেঘরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভান্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক, দেউলী দাখিল মাদ্রাসা, ইমাননগর দাখিল মাদ্রাসা, বেতীখোলা দারুস সুন্নাহ, এস এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মূলগ্রাম আলিম মাদ্রাসা ও বিদ্যানন্দকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর পদে নিয়োগ বোর্ডের দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী আবেদনকারীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য কার্ডও ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছিল। অপরদিকে আগামী ২৪ এপ্রিল ভান্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ বোর্ডের দিন ধার্য হলেও অজ্ঞাত কারণে সেটাও স্থগিত করা হয়েছে।
এব্যাপারে ভান্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বি.এম ইব্রাহীম হোসেন জানান, তাঁর স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদ খালি থাকায় বিদ্যালয় পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তিনি দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমূল হক জানান, অনিবার্য কারণ বশতঃ নিয়োগ বোর্ড দুটি স্থগিত করা হয়েছে।
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস